চোট ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে দিয়েছে নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। তিন ম্যাচের সিরিজের জন্য বিসিবি নেতৃত্বের ঝাণ্ডা তুলে দিয়েছে লিটন দাসের হাতে। ২৮ বছর বয়সী উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান এর আগে একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। প্রথমবার ওয়ানডের দায়িত্ব পেয়েছেন লিটন; তাও আবার ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। স্বাভাবিকভাবেই দারুণ রোমাঞ্চিত তিনি। চেষ্টা করবেন নিজের সেরাটা দেওয়ার। গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বলেন, ‘আমি সত্যিই রোমাঞ্চিত। বড় একটা সিরিজে আমাকে অধিনায়ক করা হয়েছে। চেষ্টা করব আমার যতটুকু সামর্থ্য আছে, তা দেখানোর।’ তিনি আরও বলেন, ‘ ক্যারিয়ারের পথচলা আমার অনেক মজার ছিল। অনেক উত্থান-পতন ছিল। আমি অনেক অনেক রোমাঞ্চিত। প্রত্যেকেরই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন থাকে। আর সবচেয়ে বড় স্বপ্ন দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া।’ তার এ নতুন পথচলায় তিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারÑ সাকিব, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর সহযোগিতা আশা করছেন লিটন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন দায়িত্ব পেলাম, আমার হাতে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ৩ জন সিনিয়র খেলোয়াড় আছেন। এটা ভেবে অনেক ভালো লাগছে। অবশ্যই আমি চাইব তারা মাঠে আমাকে সহায়তা করুক। আমি আশাবাদী, বড় ভাইয়েরা আমাকে সহায়তা করবেন। তাদের কাছে যে কোনো সময় সহযোগিতা পাব।’ ওয়ানডে ম্যাচ বলেই আশাবাদী লিটন দাস। ২০১৫ সালের সুখস্মৃতি তাদের অনুপ্রেরণা। ভারতের বিপক্ষে একবারই ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন তারা। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে আসা ভারতকে সেবার তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিলেন টাইগাররা। এবারও জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামার কথা জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। লিটন বলেন, ‘লক্ষ্য একটাইÑ জেতার জন্যই খেলতে নামব। ওদের (ভারত) সঙ্গে লড়াই করা পুরোপুরি সম্ভব। আমাদের তিন বিভাগই ভালো আছে।’ তবে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের চারে থাকা ভারতকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ শেষেই দলটি নিউজিল্যান্ড সফর করেছে। অবশ্য প্রথম সারির অনেক খেলোয়াড়ই সে সফরের দলে ছিলেন না। শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বে মাঠে নামা ভারত সিরিজ হেরেছে ১-০ ব্যবধানে। বৃষ্টির কারণে দুটি ম্যাচে কোনো ফল হয়নি। তবে পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই বাংলাদেশে এসেছে রোহিতের ভারত। তার পরও দেশের মাটিতে খেলা হওয়ায় আশার পালে ভেলা ভাসাচ্ছেন লিটন দাস। দর্শকদের সমর্থনও তাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। তিনি বলেন, ‘ভারত অবশ্যই এগিয়ে থাকবে। ওরা মাত্র নিউজিল্যান্ডে খেলে এসেছে। তবে হোম কন্ডিশন, আমাদের সাপোর্টে ক্রাউড, এটা প্লাস পয়েন্ট।’ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতো এখন বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচও উত্তেজনার রেণু ছড়ায়। লিটন বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে অনেক রোমাঞ্চিত। ভারত ভালো দল। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে তাদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলি। তারা আর আমাদের আন্ডারডগ ভাববে না। এটাই বড় ব্যাপার।’