advertisement
advertisement
advertisement

অপ্রচলিত ফসল কাসাভার চাষ পঞ্চগড়ে

নজরুল ইসলাম, পঞ্চগড়
৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:০০ এএম | আপডেট: ৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:৪৪ এএম
advertisement

কৃষিকে বাণিজ্যকরণ ও লাভজনক করার লক্ষ্যে অপ্রচলিত কৃষিপণ্য, বিশেষ করে বিদেশি কন্দাল জাতীয় ফসল কাসাভার উৎপাদন বাড়াতে কাজ করেছে কৃষি বিভাগ। এটি পুষ্টিমানসম্পন্ন। তা ছাড়া ঔষধ শিল্পের কাঁচামাল ও বেকারিজ পণ্যের উপাদানসহ নানা পণ্য উৎপাদন শিল্পে ব্যবহৃত হয়। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় পঞ্চগড় জেলায় এই কৃষিপণ্য চাষ শুরু হয়েছে। কাসাভা মাটির নিচে ফল ধরে। এটি দেখতে মিষ্টি আলু বা শিকড়ের মতো লম্বা।

রংপুর বিভাগের মধ্যে প্রথম বৃহৎ বাগান আকারে কাসাভা চাষ শুরু হয়েছে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায়। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহায়তায় উপজেলার চরতিস্তা পাড়া এলাকায় ২০ বিঘা জমিতে কাসাভা চাষ করেছেন এলাকার কৃষক গোলাম মোস্তফা। অপেক্ষাকৃত অনুর্বর-পতিত জমিতে কাসাভা চাষের পদ্ধতি খুব সহজ। স্বল্প পরিচর্যা ও কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় এই কাসাভা চাষে অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন।

advertisement

দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাফিয়ার রহমান জানান, দেশ এখন পুষ্টিমান খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিকে বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রপ্তানিমুখী করতে অপ্রচলিত ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে কাসাভার চাষ হচ্ছে। দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানির আশা নিয়ে কাসাভা চাষে সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ। তিনি আরও জানান, কন্দাল জাতীয় ফসলের মধ্যে কাসাভার চাহিদা অনেক বেশি। চাহিদা অনুযায়ী প্রতিবছর দেশে সাড়ে ৩ লাখ টন কাসাভা আমদানি করা হয়। চাহিদার মাত্র দুই ভাগ দেশে উৎপাদন হয়। মূলত আমদানিনির্ভরতা কমাতে এবং দেশীয় শিল্পের চাহিদা মেটাতে দেশে কাসাভা চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনে এগিয়ে গেছে দেশ। এখন পরিকল্পিতভাবে রপ্তানিযোগ্য অপ্রচলিত কৃষিপণ্য উৎপাদন বাড়ালে অব্যবহৃত জমির ব্যবহার, অথনৈতিক উন্নয়ন ও রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ হবে এবং দেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।

advertisement