শাহপরীর দ্বীপ
কক্সবাজারের টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি এক ব্যক্তিকে অবৈধভাবে দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক। অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষক কলিম উল্লাহ ‘বিশেষ সুবিধা’ নিয়ে ওই ব্যক্তিকে প্রায় সাড়ে সাত কড়া (তিন শতক) জমি ছেড়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকার সচেতন মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
জানা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রশিদ বিদ্যালয়ের অনুকূলে শাহপরীর দ্বীপ মৌজার বিএস ৪নং সিটের ৬৮০৩ দাগের ওই জমি দান করেন। তার ঠিক দক্ষিণে শাহপরীর দ্বীপ হাইস্কুল, পশ্চিমে পুকুর এবং উত্তরে প্রধান সড়ক। স্থানীয় বাসিন্দারাও স্কুলটির জন্মলগ্ন থেকে জেনে আসছেন ওই জমি আবদুর রশিদের দানকৃত। সূত্রে জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর স্থানীয় শাহপরীর দ্বীপ বাজার পাড়ার বাসিন্দা মনির উল্লাহ স্কুলের পশ্চিম পাশে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি আছে দাবি করে দীর্ঘদিনের ঘেরাবেড়া খুলে হঠাৎ সেখানে পাকা দেওয়াল দিয়ে বসতবাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কলিম উল্লাহ রহস্যজনক কারণে দখলকারীকে কোনো বাধা না দিয়ে বরং তাকে দখলে সহযোগিতা করেন। এতে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও অপর শিক্ষকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিশেষ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কলিম উল্লাহ বলেন, ওই জমি দীর্ঘদিন স্কুলের দখলে ছিল এটা ঠিক। তবে যাদের পৈতৃক সম্পত্তি তারা এখন দখল নিয়ে দেওয়াল নির্মাণ করেছেন। এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটি অবগত আছেন।
অন্যদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি সোনা আলী বলেন, প্রধান শিক্ষক কলিম উল্লাহ আগে আমাদের কাউকে অবগত করেননি। জমি ছেড়ে দেওয়ার সময় আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করেননি। শুরুতে তিনি কমিটিকে অবহিত করলে আমরা স্কুলের জমিটি রক্ষার চেষ্টা করতাম। অথচ দখলের প্রায় এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি গত রবিবার কমিটির মিটিং ডেকে বলছেন জমিটুকু মনির উল্লাহদের। সেটি স্কুলের প্রয়োজন নেই। তবে এ ব্যাপারে আমরা কেউ কাগজপত্র যাচাই করিনি।
মনির উল্লাহ বলেন, এ জমি দীর্ঘদিন স্কুলের দখলে ছিল কিন্তু আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। এটি শাহপরীর দ্বীপের ঐতিহ্যবাহী প্রাথমিক বিদ্যালয়। তাই আমি তাদের প্রস্তাব দিয়েছিলাম আমাদের জমিটুকু ক্রয় করার জন্য। তারা ক্রয় করেনি। তাই আমি দেওয়াল দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমদাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি একটু শুনেছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কুলের জমি কিনা যাচাই বাছাই করে উভয়পক্ষের সঙ্গে বসে এ ব্যাপারে সীদ্ধান্ত নিতে হবে।