পেরুর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দিনা বলুয়ার্তে। বামপন্থি ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলিও বন্দি হওয়ার পর তিনি দেশটির নেতা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। বলুয়ার্তে পেরুর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কাস্তিলিও কংগ্রেস ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এই তৎপরতাকে অভ্যুত্থানের অপচেষ্টা হিসেবে দেখে কংগ্রেসের জরুরি অধিবেশন ডেকে কাস্তিলিওকে অভিশংসন করেন আইনপ্রণেতারা। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দিনভর নানা নাটকীয়তার পর ৬০ বছর বয়সী আইনজীবী দিনা বলুয়ার্তে পেরুর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। তিনি আগে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। শপথ নেওয়ার পর তিনি বলেন, মেয়াদ অনুযায়ী তিনি ২০২৬ সালের জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
রাজনৈতিক সংকট থেকে দেশকে বের করে আনতে তিনি চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন। এ জন্য তিনি ‘রাজনৈতিক যুদ্ধবিরতি’র আহ্বান জানিয়েছেন। বলুয়ার্তে বলেছেন, ‘সংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করার জন্য আমি একটু জায়গা আর একটু সময় চাই।’
পেরুর জাতীয় টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে কাস্তিলিও দেশে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে ৫৩ বছর বয়সী কাস্তিলিও বলেন, কংগ্রেস তিনি ভেঙে দেবেন। কারফিউ জারি করবেন। ডিক্রি দিয়ে দেশ শাসন করবেন। কাস্তিলিওর এই ঘোষণায় সংকট আরও ঘনীভূত হয়। দেশ-বিদেশে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। প্রতিবাদে দেশটির বেশ কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন।
কাস্তিলিওকে অভিশংসন করতে বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসে অভিশংসন ভোট হয়। ১০১ জন আইনপ্রণেতা কাস্তিলিওকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। অভিশংসনের বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ছয়টি। ১০ জন ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত থাকেন।
অভিশংসনের পর বুধবারই সন্ধ্যায় কাস্তিলিওকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। উত্তেজনাপূর্ণ দীর্ঘ নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে ২০২১ সালের জুলাইয়ে লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন কাস্তিলিও।