আজও কি বেঞ্চে রোনালদো
খবরের শিরোনামে তার থাকা চাই এমন কারিশমা এক সময় ছিল দিয়েগো ম্যারাডোনার! নেতিবাচক ও ইতিবাচক খবরের শিরোনাম হওয়া ১৫-১৬ বছর কম কথা নয়। রোনালদো নামটাই তো একটা ব্র্যান্ড! সুইজারল্যান্ডের ম্যাচের পর ভুয়া খবর রটে যে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পর্তুগাল দল ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছেন। এমন কোনো কিছু ঘটেনি। তবে আজ আল থুমামা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের শুরুর একাদশে রোনালদোর থাকার সম্ভাবনা কম। বদলি হিসেবে তার নামার সম্ভাবনাই বেশি। মরক্কো ইতিহাস ঘটিয়ে শেষ আটে এসেছে। আফ্রিকার দেশটি স্পেনকে টাইব্রেকারে হারায়। হাকিম জিয়াচ ও আশরাফ হাকিমিদের সামনে আজ নতুন আদলে গড়া গনসালেস রামোসের পর্তুগাল।
পর্তুগালের ইতিহাস না মরক্কোর সেটা জানার পরই ভয়ঙ্কর আকর্ষণ অপেক্ষা করবে। আল বায়াত স্টেডিয়ামে গভীর রাতে ইউরোপের দুই জায়ান্ট মুখোমুখি হবে। বর্তমান
চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সামনে ১৯৬৬ বিশ্বকাপ বিজয়ী ইংল্যান্ডের মহারণ। এ ম্যাচেও কিলিয়ান এমবাপ্পে ফোকাসে। ৫ গোল দিয়ে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে রয়েছেন ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী এ তারকা। এ বিশ্বকাপে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড ক্লিয়ার ফেবারিট। তবে আজ রাতে একটি দলকে ফিরে যেতে হবে দেশে। স্নায়ুক্ষয়ী লড়াই হতে যাচ্ছে বটে।
সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে শেষ ষোলোর ম্যাচে রোনালদোকে বেঞ্চে রাখা হয়। সে ম্যাচে পর্তুগাল রামোসের হ্যাটট্রিকে ৬-১ গোলে হারায় সুইসদের। এ একাদশ পর্তুগালের কোচ পরিবর্তন চাইবেন না। পর্তুগালের কোচ ফার্নোন্দো সান্তোস শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অফ ফর্মের জন্য রোনালদোকে সাইড বেঞ্চে বসান। অবশ্য তাকে পরে নামানো হয়। রোনালদোকে বেঞ্চে বসানো সহজ কাজ নয়। সমালোচনা ও ঝড় বয়ে যাচ্ছে সান্তোসের ওপর দিয়ে। আবার সুইসদের বিপক্ষে ওই ফল তাকে বাধ্য করতে পারে আজ রোনালদোকে বসাতে।
বিশ্বকাপে তৃতীয়বারের মতো মরক্কোর মুখোমুখি হচ্ছে পর্তুগাল। রাশিয়ায় ২০১৮ বিশ্বকাপে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোলে জয় পেয়েছিল পর্তুগাল। ১৯৮৬ সালে মরক্কোর কাছে পর্তুগাল হেরে যায় ৩-১ গোলে।
ইউরোপের দেশ হওয়ায় ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের দেখা হয়েছে অনেকবার। ১৭টিতে ইংল্যান্ড ও ৯টিতে ফ্রান্স জিতেছে। আর ৫ ম্যাচ হয়েছে ড্র। ১৯৬৬ ও ১৯৮২ সালের দুই বিশ্বকাপের দুই খেলায় জয়ী দলের নাম ইংল্যান্ড। ফ্রান্স আজ অবশ্য ফেবারিড। তবে ইংল্যান্ডও কম নয় একেবারে।