advertisement
advertisement
advertisement

কাতার বিশ্বকাপ ২০২২
যে কারণে বিশ্বকাপ জিতেও ট্রফি দেশে নিতে পারলেন না মেসিরা

স্পোর্টস ডেস্কে
১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:৪২ পিএম | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:৪২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
advertisement

দিয়েগো ম্যারাডোনার ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার অপেক্ষা ফুরল। এবার আলবিসেলেস্তাদের স্বপ্ন পূরণ করলেন লিওনেল মেসি। গতকাল কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে বিশ্বকাপ শিরোপায় চুমু খায় আর্জেন্টিনা।

তবে ৩ যুগের অবসান ঘটলেও বিশ্বকাপের আসল ট্রফিটি মেসি-দি মারিয়ারা নিজ দেশ আর্জেন্টিনায় নিয়ে যেতে পারলেন না। এমনকি ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জিতে ম্যারাডোনাও নিতে পারেননি?

advertisement

ফিফার নিয়ম অনুযায়ী বিশ্বকাপ জেতার পরেও ট্রফি নিজেদের কাছে রাখতে পারে না কোনো দল। যেখানে জয়ী দলকে ব্রোঞ্জের একটি রেপ্লিকা দেওয়া হয়। আর আসল ট্রফি চলে যায় সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফার জাদুঘরে।

আসল স্বর্ণের ট্রফিটি বিশ্বকাপের সময় আয়োজক দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আবার নিজের জায়গায় ফেরত যায় বিশ্বকাপ ট্রফি।

advertisement

এর আগে ফিফার নিয়ম ছিল কোনো দেশ তিন বার বিশ্বকাপ জিতলে তাদের আসল ট্রফিটি দিয়ে দেওয়া হবে। ১৯৭০ সালে তৃতীয় বার বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। আসল জুলে রিমে ট্রফি দেওয়া হয়েছিল পেলেদের। ফিফার সাবেক প্রেসিডেন্ট জুলে রিমের নামেই নামকরণ হয়েছিল সেই ট্রফির। যা ছিল ব্রাজিল ফুটবল সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে।

তবে ১৯৮৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর সেই ট্রফি চুরি হয়ে যায়। সেটা আর ফেরত পাওয়া যায়নি। মনে করা হয় সেই ট্রফির সোনা গলিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। পাওয়া গিয়েছিল ট্রফির নীচের অংশটি। যেটা সোনার নয়। যদিও সেই অংশটিও ফুটবল জাদুঘনে রাখা আছে। সেই ঘটনার পর থেকেই কোনো জয়ী দেশকে আসল ট্রফি দেওয়া হয় না। বিশ্বকাপ ট্রফির রেপ্লিকা দেওয়া হয়।

তার আগে ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডে হারিয়ে গিয়েছিল আসল ট্রফি। একটি অনুষ্ঠান থেকে ট্রফি চুরি হয়ে গিয়েছিল। ৭ দিন পরে পাওয়া গিয়েছিল সেই ট্রফি। পিকেলস নামে একটি কুকুর খুঁজে বার করেছিল ট্রফিটি।

বর্তমানে যে ট্রফিটি চ্যাম্পিয়নদের দেওয়া হয় সেটি প্রথম দেওয়া হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। কিন্তু ১৯৮৩ সালে ট্রফি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনার পর থেকে কোনো দেশকেই আসল ট্রফি নিয়ে যেতে দেওয়া হয় না। তাই ৩৬ বছর পর ট্রফি জিতেও মেসিরা নিয়ে যাবেন ‘নকল’ ট্রফি। যেটি আসল ট্রফির মতো দেখতে হলেও আসল ব্রোঞ্জের তৈরি একটি রেপ্লিকা।