কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পাহাড়ি ডাকাতদের হাতে চার কৃষক অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার ভোরে হ্নীলার ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং পাহাড়ের পাদদেশ থেকে তাদের ধরে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন অপহৃতদের স্বজনরা।
অপহৃত চারজন হলেন- লেচুয়াপ্রাং এলাকার আব্দুস সালাম, আব্দুর রহমান, মুহিবুল্লাহ ও আব্দুল হাকিম। তারা সবাই কৃষি কাজ করে জীবিকা চালান বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ওই কৃষকদের তুলে নিয়ে যেতে পারে। ডাকাতপ্রবণ এই এলাকাটিতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রুপ রয়েছে। তাদের কেউ এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে।
আব্দুস সালামের ছোট ভাই মুন্সী রফিক বলেন, ‘পাহাড়ের পাদদেশে আমাদের ক্ষেতের জমি আছে। যেখানে প্রায় প্রতিদিন পাহাড় থেকে হাতি নেমে ফসল নষ্ট করে ফেলে। তাই হাতি থেকে ক্ষেত রক্ষায় গতকাল শনিবার রাতেই পাহাড়ে যায় চারজন। সেখান থেকে তাদের অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। সকালে আমরা ক্ষেতে গিয়ে তাদের জুতা আর রক্তের দাগ পেয়েছি।’
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ‘অপহরণের খবর পেয়ে বিষয়টি থানার পুলিশকে জানিয়েছি। পরে পুলিশসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কিন্তু এখনো অপহৃত কৃষকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এতে স্থানীয় লোকজন জড়িত থাকতে পারে। যারা পাহাড়ে অবস্থানকারী সন্ত্রাসীদের খাবার ও রসদ সরবরাহ করে থাকে। নিতান্তই গরীব এই কৃষকদের দ্রুত উদ্ধারের জন্য আমি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আব্দুল হালিম বলেন, তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে পুলিশের কয়েকটি টিম পাহাড় ও আশেপাশের এলাকায় উদ্ধার অভিযান নেমেছে।
উল্লেখ্য ডিসেম্বরে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার ৮ গ্রামবাসী শখের বশে পাহাড়ে মাছ শিকারে গিয়ে অপহরণের শিকার হন। পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন স্বজনরা। এর আগেও বিভিন্ন সময় হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী, উলুচামরী ও মরিচ্যাঘোনার কৃষকরা অপহরণের শিকার হয়ে পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে উদ্ধার হয়েছেন।