দেশে এইচআইভি রোগী ৯ হাজার ৭০৮ জন
এইচআইভি শব্দটা যেন এক ভয়ঙ্কর নাম। নাম শুনলেই আঁতকে ওঠেন সবাই। বাংলাদেশে এইচআইভিতে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রথম শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। তার পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। গত রবিবার সংসদের বৈঠকে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে শনাক্তকৃত এইচআইভি রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৭০৮। তাদের মধ্যে ৬ হাজার ৭৫ জন চিকিৎসাধীন ও ১ হাজার ৮২০ জন মারা গেছেন। তা খুবই দুঃখজনক। হিউম্যান ইমিউনো ডিফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) এমন এক অণুজীবÑ যার সংক্রমণের ফলে মানুষ ‘অ্যাকোয়ার্ড ইমিউন ডিফিসিয়েন্সি সিনড্রোম’ বা ‘এইডস’ নামের এক প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়। এই রোগ মানুষের শরীরের জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করার প্রাকৃতিক ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেয় এবং আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে। যদিও এই রোগের চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়েছে, তবুও মৃত্যুর হার এখনো অনেক বেশি। সমস্যা হলো, কোনো মানুষের শরীরে ভাইরাসটি প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে রোগ-লক্ষণ স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয় না। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি জানতে পারেন না যে, তার শরীর এক প্রাণঘাতী ভাইরাস বহন করছে। ফলে তার শরীর থেকে এ ভাইরাস অন্যদের শরীরেও উভয়ের অজান্তেই সংক্রমিত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এইচআইভি সংক্রমণের হার কমাতে হলে সচেতনতামূলক কর্মসূচির কোনো বিকল্প নেই। তাদের মতে, মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব সংক্রমণের হার বাড়িয়ে দিতে পারে। সংক্রমিত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা এবং যথাসময়ে চিকিৎসার আওতায় আনার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। আর সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য সুরক্ষাব্যবস্থা জোরালো করার অংশ হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সদস্যদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে, বিশেষ করে একমাত্র প্রতিষেধক হলো মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। এটিই সব থেকে বড় প্রতিষেধক। ব্যক্তি সচেতনতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।