বিপিএলের নবম আসরে বিদেশি তারকা ক্রিকেটারের সংখ্যা হাতেগোনা। যারা খেলছেন তাদের মধ্যে পাকিস্তানি ক্রিকেটারই বেশি। তারকা বলতেÑ মোহাম্মদ রিজওয়ান, আমির, নাসিম শাহরা আছেন। তবে পারফরম্যান্সে দেশি ক্রিকেটাররাই এগিয়ে। ব্যাট ও বল হাতে দাপট দেখাচ্ছেন তারা।
গত ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বিপিএল। ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা হয়ে বিপিএল এখন সিলেটে। আগামীকাল থেকে চায়ের দেশে শুরু হবে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের লড়াই। দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে সিলেট ও রংপুর। দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামের প্রতিপক্ষ বরিশাল।
চলমান আসরে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন সাকিব আল হাসান। ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক সর্বাধিক রান করা ব্যাটসম্যানের তালিকায় সবার ওপরে। ৭ ম্যাচে (৬ ইনিংস) ৭৬ গড়ে ৩০৪ রান সাকিবের। সর্বোচ্চ ৮৯*। স্ট্রাইকরেট ১৯২.৪০। ফিফটি তিনটি। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা নাসির হোসেন। এবার ঢাকা ডমিনেটর্সের অধিনায়ক তিনি। ৮ ম্যাচে ৫৮ গড়ে ২৯১ রান তার। সর্বোচ্চ ৬৬*। স্ট্রাইকরেট ১২৫.৯৭। তিনে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সের নাজমুল হোসেন শান্ত ৭ ম্যাচে ২৮১ রান করেছেন। সর্বোচ্চ ৮৯*। স্ট্রাইকরেট ১১৪.২২। সেরা পাঁচের তিনজনই স্থানীয় ক্রিকেটার। বাকি দুজন পাকিস্তানি। ৭ ম্যাচে ২৭৩ রান করে তালিকার চতুর্থ স্থানে বরিশালের ইফতিখার। আর রংপুর রাইডার্সের শোয়েব মালিকের অবস্থান পঞ্চম। ৬ ম্যাচে ২২৫ রান তার। তবে দেশি ব্যাটসম্যানরা এখন পর্যন্ত সেঞ্চুরি পাননি। তিনটি সেঞ্চুরিই হাঁকিয়েছেন পাকিস্তানের আজম খান, উসমান খান ও ইফতিখার আহমেদ।
সর্বাধিক উইকেট পাওয়া বোলারদের তালিকায় শীর্ষস্থানটা অবশ্য পাকিস্তানের দখলে। ৬ ম্যাচে ১৪৭ রান দিয়ে ১২ উইকেট নিয়েছেন খুলনা টাইগার্সের ওয়াহাব রিয়াজ। তবে সেরা পাঁচের পরের তিনটি স্থানই দখল করেছেন দেশি বোলাররা। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ঢাকার নাসির হোসেন। ৮ ম্যাচে ১৫২ রানে ১১ উইকেট তার। তিনে থাকা ঢাকার পেসার আল-আমিন হোসেন ৬ ম্যাচে ১৯০ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ১০ উইকেট। ঢাকার তাসকিন আহমেদ ৮ ম্যাচে ১৯২ রানে শিকার করেছেন ১০ উইকেট। তিনি আছেন তালিকার চতুর্থ স্থানে। তবে পাঁচ নম্বরে পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ৭ ম্যাচে ১৬৭ রান খরচ করে ৯ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার।
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটি যথরীতি ধরে রেখেছে সিলেট। মাশরাফির দল ৭ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ৬টি। হার ১টি। ১২ পয়েন্ট তাদের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাকিবের বরিশাল ৭ ম্যাচ খেলে ৫ জয়ের বিপরীতে হেরেছে ২টি। তাদের পয়েন্ট ১০। আর তিনে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। দলটি ৭ ম্যাচের মধ্যে জিতেছে ৪টিতে। তাদের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। এরপর যথাক্রমে রংপুর রাইডার্স (৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট), খুলনা টাইগার্স (৬ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট), ঢাকা ডমিনেটর্স (৮ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট) ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স (৭ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট)।