advertisement
advertisement
advertisement

বিপিএলে এগিয়ে রয়েছেন দেশিরাই

ক্রীড়া প্রতিবেদক
২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:০০ এএম | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:০৭ পিএম
advertisement

বিপিএলের নবম আসরে বিদেশি তারকা ক্রিকেটারের সংখ্যা হাতেগোনা। যারা খেলছেন তাদের মধ্যে পাকিস্তানি ক্রিকেটারই বেশি। তারকা বলতেÑ মোহাম্মদ রিজওয়ান, আমির, নাসিম শাহরা আছেন। তবে পারফরম্যান্সে দেশি ক্রিকেটাররাই এগিয়ে। ব্যাট ও বল হাতে দাপট দেখাচ্ছেন তারা।

গত ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বিপিএল। ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা হয়ে বিপিএল এখন সিলেটে। আগামীকাল থেকে চায়ের দেশে শুরু হবে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের লড়াই। দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে সিলেট ও রংপুর। দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামের প্রতিপক্ষ বরিশাল।

advertisement

চলমান আসরে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন সাকিব আল হাসান। ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক সর্বাধিক রান করা ব্যাটসম্যানের তালিকায় সবার ওপরে। ৭ ম্যাচে (৬ ইনিংস) ৭৬ গড়ে ৩০৪ রান সাকিবের। সর্বোচ্চ ৮৯*। স্ট্রাইকরেট ১৯২.৪০। ফিফটি তিনটি। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা নাসির হোসেন। এবার ঢাকা ডমিনেটর্সের অধিনায়ক তিনি। ৮ ম্যাচে ৫৮ গড়ে ২৯১ রান তার। সর্বোচ্চ ৬৬*। স্ট্রাইকরেট ১২৫.৯৭। তিনে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সের নাজমুল হোসেন শান্ত ৭ ম্যাচে ২৮১ রান করেছেন। সর্বোচ্চ ৮৯*। স্ট্রাইকরেট ১১৪.২২। সেরা পাঁচের তিনজনই স্থানীয় ক্রিকেটার। বাকি দুজন পাকিস্তানি। ৭ ম্যাচে ২৭৩ রান করে তালিকার চতুর্থ স্থানে বরিশালের ইফতিখার। আর রংপুর রাইডার্সের শোয়েব মালিকের অবস্থান পঞ্চম। ৬ ম্যাচে ২২৫ রান তার। তবে দেশি ব্যাটসম্যানরা এখন পর্যন্ত সেঞ্চুরি পাননি। তিনটি সেঞ্চুরিই হাঁকিয়েছেন পাকিস্তানের আজম খান, উসমান খান ও ইফতিখার আহমেদ।

সর্বাধিক উইকেট পাওয়া বোলারদের তালিকায় শীর্ষস্থানটা অবশ্য পাকিস্তানের দখলে। ৬ ম্যাচে ১৪৭ রান দিয়ে ১২ উইকেট নিয়েছেন খুলনা টাইগার্সের ওয়াহাব রিয়াজ। তবে সেরা পাঁচের পরের তিনটি স্থানই দখল করেছেন দেশি বোলাররা। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ঢাকার নাসির হোসেন। ৮ ম্যাচে ১৫২ রানে ১১ উইকেট তার। তিনে থাকা ঢাকার পেসার আল-আমিন হোসেন ৬ ম্যাচে ১৯০ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ১০ উইকেট। ঢাকার তাসকিন আহমেদ ৮ ম্যাচে ১৯২ রানে শিকার করেছেন ১০ উইকেট। তিনি আছেন তালিকার চতুর্থ স্থানে। তবে পাঁচ নম্বরে পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ৭ ম্যাচে ১৬৭ রান খরচ করে ৯ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার।

advertisement

পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটি যথরীতি ধরে রেখেছে সিলেট। মাশরাফির দল ৭ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ৬টি। হার ১টি। ১২ পয়েন্ট তাদের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাকিবের বরিশাল ৭ ম্যাচ খেলে ৫ জয়ের বিপরীতে হেরেছে ২টি। তাদের পয়েন্ট ১০। আর তিনে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। দলটি ৭ ম্যাচের মধ্যে জিতেছে ৪টিতে। তাদের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। এরপর যথাক্রমে রংপুর রাইডার্স (৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট), খুলনা টাইগার্স (৬ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট), ঢাকা ডমিনেটর্স (৮ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট) ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স (৭ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট)।