ব্যাংক থেকে টাকা লোপাটের অভিযোগ
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) ১৮০টি চেক টেম্পারিং করে প্রায় ৩৮ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। গতকাল বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেন। ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিএমডিএর রাজশাহীর গোদাগাড়ী জোন ২-এর কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলেমিশে এ টাকা পকেটে তুলছেন। মামলার আসামিরা হলেন গোদাগাড়ী জোন ২-এর তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ খাবিরউদ্দিন এবং একই কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী প্রকৌশলী জিএফএম হাসনুল ইসলাম। হাসনুল বর্তমানে বিএমডিএর রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায়
কর্মরত আছেন। আর খাবিরউদ্দিন গোদাগাড়ী থেকে নওগাঁর মান্দায় বদলি হয়েছিলেন। বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত। এ দুজনের বিরুদ্ধে ৩৭ লাখ ৬৭ হাজার ৭১৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ছাড়া শুধু খাবিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। সেখানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে ১১ লাখ ৩৯ হাজার ১১৮ টাকা আত্মসাতের। আরেক মামলায় বিএমডিএর সাময়িক বরখাস্ত থাকা সহকারী হিসাবরক্ষক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে এক লাখ ২১ হাজার ৩২২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
খাবির ও হাসনুলের বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হাসনুল গোদাগাড়ীতে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন আয়-ব্যয় কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি বিল ভাউচারা পাশ, চেক ইস্যু এবং কর্তৃপক্ষের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ খাবিরউদ্দিন। তিনি কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ক্যাশ বই সংরক্ষণ, আয়-ব্যয়ের হিসাব লিপিবদ্ধকরণ, চেক প্রস্তুত ও লিপিবদ্ধকরণ, চেক রেজিস্টারে চেকের তথ্য রেকর্ডভুক্তকরণ ও সংরক্ষণ এবং ইস্যু করা চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
মামলার বিষয়ে মোহনপুর উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী জিএফএম হাসনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তো যথাযথভাবে চেক সই করতাম। সেই চেক নিয়ে যদি কেউ টেম্পারিং করে, তা হলে এর দায় তার এবং ব্যাংকের। এ জন্য আমি কোনোভাবেই দায়ী নই। মামলা হয়েছে কি না তাও আমি জানি না।’ আর সাময়িক বরখাস্ত থাকা সহকারী হিসাবরক্ষক মতিউর রহমান বলেন, ‘আমি চক্রান্তের শিকার।’