শীত মানে এখন হিমকে বরণ করে নেওয়ার আনন্দ আয়োজন, প্রকৃতির পালাবদলকে উদযাপনের অনবদ্য উপলক্ষ। এই বরণ আয়োজন পৃথিবীর নানা দেশে করা হয় নানাভাবে। কোথাও শীত উদযাপিত হয় পিঠার উষ্ণতায়, কোথাও শীতের উদযাপনের রীতি তুষার-ভাস্কর্যের শীতলতায়। এরই ধারাবাহিকতায় হেমন্তের মৃদু শীতকে বরণ করে নিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনের বটতলায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘কুহেলিকা উৎসব’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘অভয়ারণ্য’র উদ্যোগে গত মঙ্গলবার দুদিনব্যাপী এ উৎসব শুরু হয়।
মধুসখা, দ্য ফ্লাওয়ার বি, মুখরোচক, পিঠাপুলি, নকশীকাঁথা, ফটোগ্রাফি প্রদর্শন, পুতুলের নাচ, চিঠিবক্স, আতিথেয়তার সমাহার, বই তরণী, আইন আবৃত্তিসহ ১৬টি স্টল স্থাপিত হয়েছে এই ‘কুহেলিকা উৎসব’-এ। যেখানে আমাদের বাঙালির শতবছরের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিচিত্র রূপ ফুটে ওঠে।
কুহেলিকা উৎসবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় ছিলÑ প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে চিঠিবাক্স। ক্যাম্পাসের যে কোনো শিক্ষার্থীর কাছে এই চিঠি পাঠানো যাবে। পছন্দের কারও কাছে চিঠি পাঠাতে হলে তার নাম, বিভাগ ও সেশন চিঠির খামের ওপর লিখে দিয়ে চিঠিবাক্সে ফেলে দিলে অভয়ারণ্যের সদস্যরা সেই কাক্সিক্ষত ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেবে চিঠি। এ ছাড়া ছিল গ্রামবাংলার রুদ্ধদ্বার পুতুল নাচের মতো আকর্ষণীয় আয়োজন।
অভয়ারণ্যের সাধারণ সম্পাদক হাসিন ইন্তেসাফ অর্প বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের হারিয়ে যাওয়া লোকসংস্কৃতি ফুটিয়ে তুলতে। আমাদের গ্রামীণ লোকসমাজের হারিয়ে যাওয়া লোকউপাদান ডাকবাক্স ও ঠেলাগাড়ির কথা সবাইকে মনে করিয়ে দিতে আমরা এ দুটির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছি।
সেই সঙ্গে আমাদের ক্যাম্পাসের অনেক উদ্যোক্তা শিক্ষার্থী আছেন, তাদের কথা ভেবে আমরা মেলার আয়োজন করেছি, যাতে তারা নিজেদের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে তাদের নিজস্বতা ফুটিয়ে তুলতে পারেন।