লঞ্চডুবিতে ৩৪ মৃত্যু
বুড়িগঙ্গায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবিতে ৩৪ জনের মৃত্যুর মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। পুলিশের এএসআই আক্কাস আলী ও কনস্টেবল আবদুুর রহমান। ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদসহ মোট ১১ জন এ মামলার আসামি।
গতকাল বুধবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এএইচএম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া দুই পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আগামী ২৮ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সদরঘাট নৌ থানাপুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর শহিদুল
আলম ১১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। এর পর গত ১৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।
২০২০ সালের ২৯ জুন চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড নামের একটি লঞ্চ সদরঘাটে পৌঁছানোর আগে ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় মর্নিং বার্ডের ৩৪ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৩০ জুন রাতে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন নৌপুলিশের সদরঘাট থানার এসআই মোহাম্মদ শামসুল। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
চার্জশিটের অপর আসামিরা হলেনÑ ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা, সহকারী মাস্টার জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন সিপাই, সুকানি নাসির মৃধা, মো. হৃদয় হাওলাদার, সুপারভাইজার আব্দুস সালাম, সেলিম হোসেন হীরা, আবু সাঈদ ও দেলোয়ার হোসেন সরকার।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, আসামিরা পূর্ব শত্রুতামূলক ও পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ময়ূর-২ লঞ্চ দ্বারা মর্নিং বার্ড লঞ্চকে আঘাত করে লঞ্চটি নদীতে ডুবিয়ে দিয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটায় এবং মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ধ্বংস করে দেয়।