পাঁচ বছর ধরে দেশের ৪৮ নদীর দখল, দূষণ ও নাব্যতা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, সেখানে কোনো তথ্য মুছে ফেলা হয়নি। গতকাল বুধবার ঢাকায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেছেন জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, একটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে- ‘৩৭ হাজার দখলদারের তথ্য মুছে দিয়েছে নদীরক্ষা কমিশন’। খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এখনো ওই প্রকল্প সমীক্ষার যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, তা চূড়ান্ত হয়নি। তা হলে মুছে দেওয়ার কথা আসছে কেন? ৪৮ নদীর সমীক্ষা তিন বছরের প্রজেক্ট ছিল। তবে সময় বাড়িয়ে পাঁচ বছর সময় নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে সমীক্ষার প্রতিবেদন চেয়ারম্যান বরাবর জমা দেওয়া হয়েছে। এ সময় সারাদেশে ৫৭ হাজার নদী দখলদারের তালিকা আছে বলে জানান মনজুর আহমেদ।
সমীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য মুছে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করলেও দীর্ঘদিন ধরে চলা সমীক্ষায় ত্রুটি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান। তাই জেলা প্রশাসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে সার্ভারে দেবেন বলে জানান মনজুর আহমেদ।
এক প্রশ্নের জবাবে মনজুর আহমেদ বলেন, ৩৯টি বড় ধরনের ত্রুটি পাওয়া গেছে। আর সমীক্ষা পানি আইনের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে, তা ঠিক হয়নি। এই সমীক্ষাকে অনেক কিছুর (অন্য আইন) ওপর নির্ভর করতে হয়। কিছু দখলদার ক্ষমতা দেখিয়ে সমীক্ষা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করতে চাচ্ছে। সেসব দখলদারকে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করার কথা জানালেও সেসব প্রভাবশালীর নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান।