advertisement
advertisement
advertisement.

সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মাথা উঁচু করতে দেব না

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:০০ এএম | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:১৩ পিএম
advertisement..

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেব না। আমাদের সংবিধানের মূল একটি নীতি হলো ধর্মনিরপেক্ষতা, যেটা সংশোধনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদেরও নাই। আর এই ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে আমি বুঝি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান আমরা সবাই বাংলার।

advertisement

এই মাটি সবার। সবাই একসঙ্গে বসবাস করবে এটা ধর্মনিরপেক্ষতার স্পিরিট। এখানে হীনমন্যতার কিছু নাই। এটাকে যারা উসকাতে চান তারা একাত্তর সালের চেতনাকে বিশ্বাস করে না।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘বাণী অর্চনা-২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সুপ্রিমকোর্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির বিজয়া পুনর্মিলনী ও বাণী অর্চনা উদযাপন পরিষদ পৃথকভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, বাংলাদেশের আইন ও সংস্কৃতি কেমন হবে সেটা আমাদের সংবিধানে উল্লেখ আছে। কার স্ট্যাটাস কেমন হবে সেটাও উল্লেখ আছে। আমরা কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠ না আবার কেউ সংখ্যালঘুও না। সবাই আমরা এদেশের নাগরিক। সবার পরিচয় আমরা বাঙালি। কেউ নিজেকে সংখ্যালঘু কমিউনিটির লোক হিসেবে ভাববেন না। এটা কখনো ভাবার কোনো অবকাশ নেই। তিনি বলেন, আমাদের রাসুল (স) বিদায় হজের ভাষণে বলে গেছেন ধর্ম নিয়ে তোমরা বাড়াবাড়ি করো না। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণে অনেক জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ধর্ম পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধর্মের স্পিরিট ধারণ করে আমরা সৎ থাকব। আমরা দুর্নীতির কাছে যাব না। আমরা মানি লন্ডারিং করব না। আমরা সব ধর্মের মানুষ মিলে এই দেশকে গড়ে তুলব। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিচারপিত হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আপনারা নির্দ্বিধায় এখানে বসবাস করবেন। কোনো রকম সাম্প্রদায়িকতাকে আমরা কেউ প্রশ্রয় দেব না। আমরা একাত্তরকে ভুলে যাব না। আমরা আমাদের শাসনতন্ত্রকে ভুলে যাব না। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, যত দিন শাসনতন্ত্র থাকবে, যত দিন একাত্তর সালের চেতনায় থাকব তত দিন এই দেশের সব মানুষের অধিকার সমান।

অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।