advertisement
advertisement
advertisement.

কক্সবাজারে ৭৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা ইউএসএআইডির

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
২৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:০০ এএম | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:১৩ পিএম
advertisement..

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) খাদ্য ও জ্বালানির অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে কক্সবাজারের অসহায় ও বিপদগ্রস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং তাদের আশ্রয় দেওয়া স্থানীয় বাংলাদেশিদের চলমান চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে মানবিক সহায়তা হিসেবে আরেও ৭৫ মিলিয়ন ডলার বা ৭৫০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।

advertisement

এই কর্মসূচিগুলোর সুবিধাভুক্ত জনগোষ্ঠী হবে ৩৩টি শরণার্থী শিবির ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ১৩০টি এলাকার বাসিন্দারা। এ ছাড়াও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচির মাধ্যমে ডব্লিউএফপি শরণার্থী শিবিরগুলোর অভ্যন্তরে অবস্থিত জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য নির্মিত অবকাঠামোগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।

নতুন এই অর্থায়নের ফলে ইউএসএআইডি জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডব্লিউএফপির সাথে মিলে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তার পাশাপাশি অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, দুর্যোগের ঝুঁঁকি হ্রাস এবং গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক সহায়তা দিতে পারবে। এই নতুন তহবিল ব্যবহার করে প্রায় ৬ লাখ মানুষকে গুরুত্বপূর্ণ ও জীবনরক্ষাকারী সহায়তা দেওয়া সম্ভব হবে।

খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তার মধ্যে রয়েছে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য নির্ধারিত বিতরণ কেন্দ্র থেকে ইলেকট্রনিক ভাউচার বা রসিদের মাধ্যমে প্রধান খাদ্যশস্য ও তাজা শাকসবজি সংগ্রহের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশু এবং গর্ভবতী

নারী ও সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মায়েদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো কর্মসূচিকে সহায়তা করা।

বাংলাদেশ প্রায় ১১ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে যাদের মধ্যে বেশির ভাগ জাতিগতভাবে রোহিঙ্গা। ছয় বছর আগে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূল অভিযান এবং ভয়ঙ্কর নৃশংসতা ও নির্যাতনমূলক অভিযান পরিচালনা করায় ৭,৭৪,০০০-এরও বেশি রোহিঙ্গা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। যাদের বেশির ভাগ শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছে। যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের সাহায্য করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইউএসএআইডি রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার পাশাপাশি তাদের আশ্রয় দেওয়া উদার স্থানীয় বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীকেও সহায়তা করা অব্যাহত রাখবে।