advertisement
advertisement
advertisement.

আব্রামস-লেপার্ড কী প্রভাব ফেলবে

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ

আমাদের সময় ডেস্ক
২৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:০০ এএম | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:১৩ পিএম
advertisement..

রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে অবশেষ পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক ট্যাংক পেতে যাচ্ছে ইউক্রেন। তাদের বিশ^াস, এসব ট্যাংক যুদ্ধের ময়দানের গতিপ্রকৃতি পাল্টে দিতে পারে। কিন্তু সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেনের খুব বেশি আত্মতৃপ্তিতে ভোগার কারণ নেই। এ ক্ষেত্রে মোটা দাগে তিনটি যুক্তি তুলে ধরেছেন তারা। প্রথমত, যতগুলো ট্যাংক ইউক্রেন পাবে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। দ্বিতীয়ত, এসব ট্যাংক চালানো কিংবা রক্ষণাবেক্ষণের সক্ষমতা ইউক্রেনের নেই। আর তৃতীয়ত যুক্তি হলো, এ ধরনের ট্যাংক ধ্বংসের সক্ষমতা রাশিয়ার রয়েছে। খবর আরটি ও প্রাভদার।

advertisement

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে চতুর্থ প্রজন্মের এফ-১৬ জঙ্গিবিমানও চাইছে ইউক্রেন।

গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেন, তারা ইউক্রেনকে ‘থার্টি ওয়ান আব্রামস’ ট্যাংক পাঠাবে। একই দিনে ‘লেপার্ড টুএসিক্স’ ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণা দেয় জার্মানি। একই সহযোগিতা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে পোল্যান্ড, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যও।

সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের নিয়মের উদ্ধৃতি দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা আরটির

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একেকটি সাঁজোয়া বাহিনীর কাছে ২৯৬টি ট্যাংক, ২৩০টি পদাতিক যান, ৫৪টি

স্বচালিত আর্টিলারি ব্যবস্থা, দুই হাজারের বেশি নিয়মিত যান ও ১২ হাজার সেনা থাকা প্রয়োজন। সেই হিসাবে

লুহানস্ক, দোনেৎস্ক ও জাপোরিঝিয়া- এই তিনটি শহরে কমপক্ষে একটি করে সাঁজোয়া বাহিনী থাকা দরকার। সাঁজোয়া বাহিনী লাগবে বেলারুশ সীমান্তের। এ চারটি সাঁজোয়া বাহিনীতে ট্যাংক লাগবে অন্তত ১২০০টি। আর জরুরি প্রয়োজনের জন্য রাখতে হয় আরও ৩০০টি। সব মিলিয়ে অন্তত দেড় হাজার ট্যাংক লাগবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে প্রতিশ্রুতি এসেছে, তাতে সব মিলিয়ে ইউক্রেন ট্যাংক পাবে প্রায় ১০০টি। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য ও ও পোল্যান্ড দেবে ১৪টি। একই পরিমাণ ট্যাংক দেবে জার্মানি। ৩১টি আসবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে।

এসব ট্যাংক চালানো কিংবা রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও বেকায়দায় পড়তে হবে ইউক্রেনকে। আরটির বিশ্লেষণ বলছে, অদক্ষ সেনা দিয়ে ট্যাংক পরিচালনা করলে ফল নেতিবাচকও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ট্যাংক পরিচালনার জন্য ইউক্রেনের সেনাদের অবশ্যই প্রশিক্ষণ নিতে হবে। থাকতে হবে ট্যাংক মেরামতকারী ইউনিটও।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমাদের এসব ট্যাংক মোকাবিলার সক্ষমতা রাশিয়ার রয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়ার রোবোটিক সামরিক যান ‘মার্কার’ যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম। রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের সাবেক প্রধান দিমিত্রি রোগোজিন বলেন, মার্কার স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রুপক্ষের সামরিক যান শনাক্ত ও ধ্বংস করতে পারে। তিনি জানান, এই রোবোটিক সামরিক যানে ‘ইলেক্ট্রনিক ক্যাটালক’ থাকে। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান কিংবা ইনফ্রারেড দূরত্বে থাকা যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা যায়।

একটি রোবোটে চারটি বক্স থাকে। একেকটি বক্সে থাকে চারটি করে ড্রোন। এসব ড্রোনের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের যেকোনো ড্রোন ধ্বংস করা সম্ভব।