রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে পাহাড়ের দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সম্রাট (৩২) সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সদস্য বলে জানা গেছে। রাইখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গংগ্রিছড়া এলাকায় বুধবার দুপুর ২টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে রাত পৌনে এগারোটার দিকে চন্দ্রঘোনা থানায় নিয়ে আসে।
অন্যদিকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে
বুধবার কাঠবাহী ট্রাকে গুলির ঘটনায় গতকাল প্রতিবাদ সমাবেশ করেন রাঙামাটি জেলা ট্রাক-মিনিট্রাক মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটির নেতারা। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সমাবেশ থেকে সাত দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন তারা।
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, গংগ্রিছড়া পাড়া এলাকায় সন্তু লারমার জেএসএস ও মগ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (এমএনপি) সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এ সময় জেএসএস (সন্তু লারমা) দলের সম্রাট নামে একজন গুলিতে নিহত হন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংক্য মারমা বলেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের মাধ্যমে গংগ্রিছড়া এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি।
তবে বন্দুকযুদ্ধ ও একজন নিহতের বিষয়ে জেএসএস ও প্রতিপক্ষ এমএনপির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে কাঠবাহী ট্রাকে গুলির ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। এতে জেলা ট্রাক মিনিট্রাক মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেকান্দর হোসেন চৌধুরী অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম ঘোষণা করেন।
বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ট্রাক মিনিট্রাক মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটির সভাপতি সাব্বির আহাম্মদ ওসমানী।
এছাড়া ট্রাক মিনিট্রাক পিকআপ সমিতির সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জেলা সড়ক পরিবহন ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ট্রাক মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এটিএম হাসমত উল্লাহসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই। শ্রমিক নেতারা তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছেন। তারা বিকালে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। সন্ত্রাসী দমনে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অসহায় মানুষগুলো পাহাড়ের পণ্য বহন করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু পাহাড়ের অবৈধ কিছু অস্ত্রধারী ট্রাক, মিনিট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা উত্তোলন করছে প্রতিনিয়ত। এ ছাড়াও রাঙামাটি সড়কে চালকদের উপর গুলিবর্ষণ ও হয়রানি করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের কারণে পাহাড়ের প্রতিটি মানুষ আজ ক্ষতিগ্রস্ত। তাই তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।