গাজীপুরের শ্রীপুরে টিউলিপ ফুলের বাগান ‘মৌমিতা ফ্লাওয়ার্স গার্ডেন’ ঘুরে গেলেন নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত মি. দিজ ওডসট্রা। আজ শনিবার সকালে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ও সেলিনা হোসেন দম্পতির বাগান ঘুরে দেখেন তিনি। এ সময় উপ-রাষ্ট্রদূতকে একগুচ্ছ নানা রঙের টিউলিপ ফুল দিয়ে বরণ করেন বাগান মালিক দেলোয়ার দম্পতি।
বাগান পরদর্শন করে উপ-রাষ্ট্রদূত মি. দিজ ওডসট্রা বলেন, ‘টিউলিপ রপ্তানির সুযোগ আছে। ইউরোপে টিউলিপের দাম অন্য দেশের তুলনায় অনেক কম। সেখানে প্রচুর টিউলিপ ফার্ম আছে। তবে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ অন্য দেশে এই ফুলগুলো রপ্তানি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে। তাছাড়া বাংলাদেশেই এই ফুলটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফুলটি স্থানীয় বাজারেও বিক্রি করে লাভবান হওয়া যাবে।’
মি. দিজ ওডসট্রা আরও বলেন, ‘দেলোয়ার হোসেন ও সেলিনা হোসেন বাংলাদেশের পরিবেশে টিউলিপ ফুল ফুটিয়ে অসাধারণ কাজ করেছেন। একদিন বাংলাদেশের সব জায়গায় টিউলিপ ফুল চাষ হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।’
নেদারল্যান্ডসের ফুলের সঙ্গে বাংলাদেশের চাষ হওয়া এ ফুলের মান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার দেশ ও বাংলাদেশে ফোঁটা ফুলের মান প্রায় একই রকম। তবে এই দেশের পরিবেশে গ্রিন হাউসে ফুলটি চাষ করতে পারলে আরও ভাল ফল পাওয়া যাবে।’
উল্লেখ্য, শ্রীপুরের কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামে দেলোয়ার হোসেন ও সেলিনা হোসেন দম্পতি চতুর্থবারের মতো টিউলিপ ফুলের চাষ করেছেন। এ বছর তাদের বাগানে ছয় রঙের ১২ জাতের ৭০ হাজার টিউলিপ (বাল্ব) রোপণ করে ফুল ফুটিয়েছেন। একই সঙ্গে দেশের আরও কয়েকটি জেলায় তাদের ব্যবস্থাপনায় ফুলের বাল্ব সরবরাহ করে সেখানেও টিউলিপ চাষ করেছেন তারা।
২০২০ সালে প্রথমবারের মতো ১০০০ বাল্বের মাধ্যমে টিউলিপের পরীক্ষামূলক চাষাবাদ শুরু করেছিলেন এই দম্পতি। প্রথম বছরেই ব্যাপক সফলতা পান। এরপর দেশীয় পরিবেশ বিবেচনায় নতুন কিছু জাতের বাল্ব আমদানি করেন। সেই বাল্বে দ্বিতীয় বছরেও ফুল ফুটিয়ে সফল হন।