চুয়াডাঙ্গার দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোং চিনি মিলে আখের অভাবে মাড়াই মৌসুমের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। গত শুক্রবার হুইসেল বাজিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করল মিলটি। ১৯৩৮ সালে চিনিকলটি প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম ৪২ কার্যদিবসের মাথায় আখের অভাবে মাড়াই বন্ধ করতে মিল কর্তৃপক্ষ বন্ধ হলো। মদ বিক্রির পরিমাণ ছিল রেকর্ড। চিনি মিলের লোকসান ডিস্টিলারির মুনাফা দিয়ে সমন্বয় করা হয়। সমন্বয় করেও মিলটি অর্থবছর শেষে ১০০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা অর্জন করে।
চিনিকলের কারখানা বিভাগ জানায়, গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ আনুষ্ঠানিকভাবে কেরু অ্যান্ড কোং চিনিকলের মাড়াই শুরু করা হয়েছিল। বড় ধরনের কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছাড়াই মিলটি মাড়াই চলিয়ে যায়। কিন্তু আখের অভাবে বন্ধ করতে হয় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই। শুক্রবার আখের অভাবে এ মৌসুমের মাড়াই বন্ধ করা হয়।
চিনিকল সূত্রে জানায়, এ বছর মাড়াই দিবসের আগে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সাড়ে ছয় শতাংশ চিনি আহরণের হার নির্ধারণ করে। ৫৩ কার্যদিবসে ৬২ হাজার টন আখ মাড়াই করে ৩ হাজার ৮৮৪ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়। কিন্তু আখের স্বল্পতার কারণে ৪২ দিনে ৪৬ হাজার ৯৩৭ টন আখ মাড়াই করে। শুক্রবার পর্যন্ত ২ হাজার ২৭০ টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। চিনি আহরণের গড় হার ছিল ৫ শতাংশ। চিনি কারখানা এবারও লোকসানের মুখে পড়তে পারে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছে।