advertisement
advertisement
advertisement.

তারাগঞ্জে রাস্তায় ময়লার স্তূপ, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

এনামুল হক দুখু, তারাগঞ্জ (রংপুর)
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:০০ এএম | আপডেট: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০১:২৪ এএম
advertisement..

তারাগঞ্জ উপজেলার তারাগঞ্জ বাজারের ধুলিয়ার মোড় থেকে হাজারীহাট রোডের ন্যাংটিছেড়া নালার সেতুর দুপাশে রাস্তার ওপর ময়লা আবর্জনার স্তূপ তৈরি হয়েছে।

ন্যাংটিছেড়া ব্রিজের এক পাশ তারাগঞ্জ উপজেলার শেষ সীমানা। আর অন্য পাশ হলো পার্শ্ববর্তী নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা। সৈয়দপুর উপজেলার হাজারো মানুষ প্রতিদিন আসেন তারাগঞ্জ বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্য ও কেনাকাটা করতে। ওই এলাকার লোকজনকে তারাগঞ্জ বাজারে আসার জন্য এটিই একমাত্র রাস্তা। কিন্তু সেই রাস্তার ওপর ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরে পথ চলতে হয় তাদের। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।

advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আনারুল হক বলেন, ব্রিজের পাশেই আমার বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে এখানে ব্যবসা ও বসবাস করছি। দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজের দুপাশে আবর্জনার স্তূপ হয়ে থাকলেও তা পরিষ্কার করার কোনো ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ। এখানে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আবর্জনার দুর্গন্ধে ক্রেতারা দোকানে কেনাকাটা করতে আসা কমিয়ে দিয়েছেন। এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, তারাগঞ্জ বাজারের মাংসহাটির সব ময়লা আবর্জনা এখানে ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারের কিছু হোটেলের সারাদিনের ময়লা-আবর্জনা গভীর রাতে ফেলে দিয়ে যায়।

তারাগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল হক বলেন, রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করা যায় না। এত বেশি দুর্গন্ধ যে, নাক-মুখ চেপে ধরে হাঁটতে হয়।

ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ভ্যান চালান আজমল হোসেন নামের ৫০ বছরের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘মুই সকাল থাকি যাত্রী নিগা আনা করোং এই রাস্তাটা দিয়া। মোর ভ্যানোত ছোট ছোট ¯ু‹লপড়া ছোয়াগুলা চরে। ওমরা এটে কোনা আসিয়া এইলার গন্ধোতে কাশাকাশি শুরু করি দেয়। ওমার খুব কষ্ট হয়। এইলা আবর্জনা না সারাইলা ছোয়াগুলার অসুখ হইবে।’

এ ব্যাপারে তারাগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন আফান বলেন, বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। ওই রাস্তাটি দিয়ে বহু সংখ্যক লোক আসে প্রতিদিন তারাগঞ্জ বাজারে কেনাকাটা করতে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও আসে এই রাস্তা দিয়ে। তারাগঞ্জ বাজারের হোটেল ও মাংশ হাটির লোকদেরকে এর আগে সেখানে আবর্জনা ফেলতে নিষেধ করা হয়েছিলো। মাঝখানে কেউ সেখানে আবর্জনা ফেলেনি। আবার যেহেতু ফেলছে, সেহেতু তাদেরকে নিষেধ করা হবে।

তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, রাস্তার উপরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা ঠিক নয়। স্থানীয় লোকদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান ঠিক করতে হবে।