দুইশ ছুঁইছুঁই ব্রয়লার মুরগি
ব্রয়লার মুরগির মাংস বাংলাদেশে সবচেয়ে সস্তা ও সহজলভ্য আমিষের উৎস। অথচ সেই ব্রয়লার মুরগির দাম এখন প্রতিকেজি ২০০ টাকা ছুঁইছুঁই। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত রবিবার রাজধানীর বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ২০০ টাকাতেও বিক্রি হয়েছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী ব্রয়লারের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ২২.৫৮ শতাংশ, মাসের ব্যবধানে ২৪.৫৯ শতাংশ এবং বছরের ব্যবধানে ৩১.০৩ শতাংশ বেড়েছে। ডিমের দামও এক সপ্তাহে ৮.২৩ শতাংশ এবং মাস ও বছরের ব্যবধানে ২৬.০৩ শতাংশ বেড়েছে।
মাছ-মাংসের দাম ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষের প্রাণিজ আমিষের কিছুটা চাহিদা পূরণ করছিল ডিম। কয়েকদিন ধরে ওই ডিমের রেকর্ড দামে এসব মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণ নাগালের বাইরে চলে গেছে। ফলে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষের আমিষের চাহিদায় বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
মূলত সরকার গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিটের দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। খামারিরা বলছেন, এতে পোলট্রি খাতের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাই ক্রেতা পর্যায়ে দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। বাংলাদেশে একবার কোনো পণ্যের দাম বাড়লে তা আর কমতে চায় না।
বাজারের ওপর সরকারের সময়োপযোগী নীতি (ভর্তুকিসহ) এবং সে অনুযায়ী হস্তক্ষেপের বিকল্প নেই। বিশেষ করে ডজন দেড়েক পণ্যের সরবরাহ ও দাম সার্বক্ষণিকভাবে তদারক করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ সেল থাকতে পারে।
সরকারের উচিত বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বসে অবিলম্বে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা। ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও আলোচনা করা আবশ্যক বলে মনে করি। এ ছাড়া খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়গুলোর কাজে সমন্বয় থাকতে হবে। সমস্যা ঘাড়ের ওপর পড়লে তড়িঘড়ি করে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজতে হবে।