বাবা শিবনারায়ণ চন্দরপলকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যান ধরাই হয়। সাদা পোশাকের জার্সিতে নামের পাশে ৩০টি সেঞ্চুরি রয়েছে শিবনারায়ণের। ১৯৯৪ সালে টেস্ট অভিষেক হওয়ার পর দীর্ঘ তিন বছর লেগেছে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেতে। ১৯৯৭ সালে এসে ব্রিজটাউন টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান শিবনারায়ণ চন্দরপল। ১৯ টেস্ট আর ৩১ ইনিংস অপেক্ষার পর পেয়েছিলেন কাক্সিক্ষত সেঞ্চুরির দেখা। অবশ্য তার ছেলে তেজনারায়ণ চন্দরপলকে তেমন অপেক্ষা করতে হয়নি প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির জন্য। নিজের তৃতীয় টেস্ট পঞ্চম ইনিংসে এসেই পেয়ে গেছেন ম্যাজিক্যাল ফিগারের দেখা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়ে টেস্টে খেললেন অপরাজিত দ্বিশতক রানের ইনিংস।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৪৭ রান করেছে। তেজনারায়ণের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ২০৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস। এ জন্য তিনি বল খেলেছেন ৪৬৭টি। তার ইনিংসে ছিল ১৬টি চার ও ৩টি ছয়ের মার। পিতার মতোই দারুণ ধৈর্য্যশীল ইনিংস খেলেছেন তিনি। অবশ্য তেজনারায়ণকে দারুণ সহায়তা করেছেন সেঞ্চুরিয়ান কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। তার ব্যাট থেকে আসে ১৮২ রান। তিনি বল খেলেন ৩১২টি। তার ইনিংসে ছিল ১৮টি চারের মার। ব্র্যাথওয়েটের টেস্ট ক্যারিয়ারের এটি ১২তম সেঞ্চুরি।
২০১৩ সালের মার্চের পর থেকে ব্রাথওয়েট ছাড়া অন্য কোনো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনারের এটিই প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি, মাঝে ব্রাথওয়েট একাই করেছেন ১২টি। চন্দরপলের আগে ব্রাথওয়েট ছাড়া সর্বশেষ সেঞ্চুরিটি করেছিলেন ক্রিস গেইল। ২০১২ সালের পর এবারই প্রথম একই ইনিংসে দুই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনারও পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। এই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান প্রথম উইকেট জুটিতে তোলেন ৩৩৬ রান।