ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেনের একমাত্র গোলে টটেনহাম হটস্পার রবিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ১-০ গোলে হারিয়েছে শিরোপাপ্রত্যাশী ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিকে। রবিবারের ম্যাচে এই গোলের মাধ্যমে টটেনহামের হয়ে এক নতুন রেকর্ড গড়েছেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। হটস্পারের জার্সি গায়ে ২৬৭টি গোল করেছেন তিনি। যা এই ক্লাবের পক্ষে সর্বোচ্চ।
১৫ মিনিটে কেনের গোলে স্পার্সদের জয় নিশ্চিত হয়।
একই সঙ্গে কেন সাবেক ফরোয়ার্ড জিমি গ্রিভসের দীর্ঘদিনের গোলের রেকর্ড ভেঙে নতুন মাইলফলক গড়েছেন। ১৯৭০ সাল থেকে গ্রিভস এই রেকর্ড নিজের করে রেখেছিলেন। গত ২৩ জানুয়ারি ফুলহামের বিপক্ষে গোল করে কেন গ্রিভসকে স্পর্শ করেছিলেন। এর সঙ্গে অ্যালান শিয়েরার (২৬০) ও ওয়েইন রুনির (২০৮) সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ২০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন কেন। রেকর্ডের পর কেন বলেছেন, ‘আমি কিছু বলতে পারছি না। এটা আসলেই জাদুকরী এক মুহূর্ত। এ কৃতিত্ব অর্জনে আমি মরিয়া ছিলাম। একই সঙ্গে দলের জয়ও চেয়েছিলাম।’
ডিসেম্বরে বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে গোল করে রুনির সঙ্গে ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলাদাতার তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষস্থান দখল করেছেন কেন। গ্রিভসকে ছাড়িয়ে যাওয়া ক্রমেই উন্নতির শিখরে পৌঁছানো কেনের জন্য অনিবার্য ছিল। যদিও ২০২১ সালে সিটিজেনরা যদি তাকে দলে ভেড়াতে পারত তা হলে কেনের এই কৃতিত্ব অর্জন করা সম্ভব হতো না। ক্যারিয়ারের শুরুটা কেনের মোটেই সহজ ছিল না। বেশ কয়েকবার ধারে অন্যত্র খেলতে যাওয়াটাও তার জন্য সুখকর ছিল না।
২০২১ সালে ৮১ বছর বয়সে গ্রিভস মৃত্যুবরণ করেন। ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সাবলীল গোলদাতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন গ্রিভস। এ ধরনের একজন কিংবদন্তি স্ট্রাইকারের পাশে নিজের নাম উঠাতে পেরে কেন গর্ব অনুভব করছেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরুতে কখনই মনে হয়নি প্রিমিয়ার লিগে ২০০ গোল করব। জিমি গ্রিভস একজন পরিপূর্ণ নায়ক, ইংলিশ ফুটবলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মুহূর্তটা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
টটেনহামের নতুন মাঠে গিয়ে টানা চার ম্যাচ হারের পর কার্যত লিগ জয়ের আশা ছাড়ল ম্যানচেস্টার সিটি। পরশু সংবাদ সম্মেলনে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমরা এখন লিগ জেতা নিয়ে ভাবছি না। কাজটা অনেক কঠিন হয়ে গেছে। এ ধরণের প্রতিযোগিতায় শিরোপা জিততে হলে আপনাকে ছন্দ ধরে রাখতে হবে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে আমরা সেটা হারিয়ে ফেলেছি।’