চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে আহত প্রবেশ লাল শর্মা (৫৫) নামের একজন মারা গেছেন। গতকাল রোববার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত জনে।
প্রবেশ লাল শর্মা সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। চমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন- সীতাকুণ্ডের আগুন নিয়ন্ত্রণে, তদন্ত কমিটি গঠন
তিনি জানান, রোববার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রবেশ লাল শর্মার মৃত্যু হয়। তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
এর আগে শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে কদমরসুল কেশবপুর এলাকায় সীমা স্টিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কয়েক কিলোমিটার এলাকা। ঘটনাস্থলের আশপাশের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় ছিটকে পড়ে বিস্ফোরিত ইস্পাতের টুকরো। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন- সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৬
বিস্ফোরণে নিহত অন্যরা হলেন- লক্ষীপুরের কমলনগর থানার চরলরেন্স গ্রামের মহিজল হকের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (৩৩), নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানার ছোট মনগড়া গ্রামের খিতিশ রংদীর ছেলে রতন লকরেট (৫০), নোয়ালখালীর সুধারাম থানার ওলিপুর গ্রামের মৃত মকবুল আহমদের ছেলে মো. কাদের মিয়া (৫৮), নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার বিজয়পুর গ্রামের মৃত বিম রুগার ছেলে সেলিম রিছিল (৩৯), সীতাকুণ্ডের মধ্যম-সলিমপুর গ্রামের মৃত আবুল বশরের ছেলে মো. ফরিদ (৩২) ও ভাটিয়ারি ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে শামসুল আলম (৬৫)।
আরও পড়ুন- বিস্ফোরণে অনেকের ‘হাত-পা বিছিন্ন’, আতঙ্কে ছোটাছুটি
নিহত এ ছয় জনের ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা নুরুল আশেক।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ জানান, সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের কাজ চলছে। কারা এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী তা খুঁজে বের করা হচ্ছে।