পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে পরীক্ষার্থীসহ প্রতারক চক্রের একজনকে আটক করেছে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত টিআরসি পরীক্ষার্থী হারুন অর রশীদের প্রবেশপত্র, তিনটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন কাগজপত্রাদি উদ্ধারসহ ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- কুতুবদিয়া লেমশীখালী হাবীব হাজির পাড়ার আবু তাহেরের ছেলে তানজিম উদ্দিন তাহের বাবলা (২০), একই উপজেলার ছিদ্দিক হাজির পাড়ার ছাবের আহমেদ'র ছেলে একরাম হোসেন (২৪)৷
গতকাল সোমবার রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ওসি আহমেদ নাসির উদ্দীন মোহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন৷ তিনি জানান, সোমবার কক্সবাজার মডেল হাই স্কুল পরীক্ষা কেন্দ্রে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) লিখিত পরীক্ষায় হারুন অর রশীদের (রোল নং ৭১১০১৩০) ছবি ফটোশপের মাধ্যমে এডিট করে তানজিম উদ্দিন তাহের বাবলা৷ প্রবেশপত্রসহ সকাল ১০টায় পরীক্ষার হলে প্রবেশ করার সময় হাতেনাতে আটক করা হয়।
পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে প্রতারক চক্রের আরেক সদস্যের বিষয়ে তথ্য দেন৷ তানজিমের তথ্যমতে, কক্সবাজারের আবাসিক হোটেল আল হেরার ৩২৫ নং কক্ষ থেকে একরাম হোসেন নামে আরেকজনকে আটক করা হয়৷ এ সময় তার কাছ থেকে টিআরসি পরীক্ষার্থী হারুন অর রশীদের প্রবেশপত্র, তিনটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন কাগজপত্রাদি উদ্ধারসহ ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
ওসি জানান, প্রতারক চক্রের সদস্য একরাম হোসেনের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সায়েম, প্রক্সি পরীক্ষার্থী মিরাজ, পলাতক পরীক্ষার্থী হারুন অর রশীদসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যান। তবে আটককৃত ও পলাতক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, কক্সবাজারে পুলিশের টিআরসি নিয়োগ পরীক্ষায় ২ হাজার আটশত ৩২ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন৷ প্রাথমিক ও শারীরিক বাছাইয়ের পর ৬৭৩ জন লিখিত পরীক্ষা দেন৷