রাজধানীর নিউ বেইলি রোডের সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজকে সরকারিকরণে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের হয়রানি-নির্যাতন বন্ধের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকাল ১০টায় কলেজের ফটকের সামনে এ অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন।
অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন কলেজের কর্মচারী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীরাও। এ সময় তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ও অনুমোদিত সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজটির সরকারিকরণ বাস্তবায়ন কার্যক্রম আটকে রাখা। সরকারি আদেশ অমান্য করে সরকারি অধ্যক্ষ প্রেষণে নিয়োগ আদেশ বাতিলের অপচেষ্টা ও অধ্যক্ষকে তার সিটে বসতে না দেওয়া। সরকারিকরণ প্রক্রিয়াধীন বলে ৩ বছর ধরে নিয়োগ, পদোন্নতিসহ বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কলেজের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির ডিড অফ গিফট প্রদানের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সরকারের কাছে হস্তান্তর না করা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ২৫ টাকা বেতনে পড়ার কথা থাকলেও ১৩০০ টাকা বেতন দিতে হচ্ছে যা পরিবারের জন্য চাপ ও হতাশার । অভিভাবক প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি। নির্বাচন বিধি বহির্ভূতভাবে করার অপচেষ্টা চলছে। ছুটিতে থাকা শিক্ষকদের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সরকারিকরণ এর পক্ষে কথা বললে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের ভয় ভীতি দেখানো হয়। শিক্ষক-কর্মচারীর চাকরি চলে যাবে, শিক্ষার্থীদের টিসি দিয়ে দেওয়া হবে এমন সব কঠোর শান্তির কথা বলে হয়রানি করা হয়।
তাদের অভিযোগ, গভর্নিং বডির সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধিকেও গভর্নিং বডির যেকোন সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে জানানো হয়না। এমনকি মিটিং থাকলেও সে বিষয়ে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে না জানিয়ে মিটিং শুরু হবার অল্প কিছু সময় পূর্বে অবগত করা হয়। যেকোনো সিদ্ধান্ত কলেজের একটি গোষ্ঠীকে লাভবান করতে তাদের অনুকূলে যায় এমন সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়। কলেজের সমস্ত আর্থিক সুবিধা আছে এমন সব কর্মকাণ্ডে ওই গোষ্ঠীরই সংশ্লিষ্টতা থাকে।