advertisement
advertisement
advertisement

টেকনাফে অপহৃত ৭ জনকে উদ্ধার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
১৭ মার্চ ২০২৩ ০৯:৩১ পিএম | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৩ ০৯:৩১ পিএম
টেকনাফ মডেল থানা। ছবি: সংগৃহীত
advertisement

কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া থেকে অপহৃত ৭ জন উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বাহারছড়ার পাহাড়ে পুলিশের অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাহাজপুরা নামক এলাকার পাহাড়ের গরু চরাতে ও কাঠ সংগ্রহে গেলে অস্ত্রধারী একদল দুবৃত্ত তাদের ধরে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ, কক্সবাজার জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ও স্থানীয় জনগণ পাহাড়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন।

advertisement

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, গতকাল বাহারছড়া থেকে অপহৃত ৭ ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তাদের উদ্ধারে পাহাড়ে গতকাল দুপুর থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকে। পরে আজ ভোরে আবার পুলিশ সাড়াশি অভিযান শুরু করে। পরে আজ সন্ধ্যায় গহীন পাহাড়ের ঝোঁপ থেকে ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়।

ওসি আব্দুল হালিম আরও বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পাহাড়ের একটি অংশ আমরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। শেষ পর্যন্ত অপহরণকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই ৭ জনকে রেখে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসা শেষে পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হবে।’

advertisement

জাহাজপুরার স্থানীয় বাসিন্দা অপহৃত গিয়াস উদ্দীনের মা রহিমা জানান, ‘ছেলের অপহরণের খবর পাওয়ার পর থেকে মনকে কোনোভাবে শান্তনা দিতে পারছি না। পুলিশ কাজ করছে সেটা আমি দেখছি। এলাকার লোকজনও যথেষ্ট চেষ্টা করেছে। শেষ পর্যন্ত ছেলের উদ্ধার হওয়ার খবরে আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ের পাশ থেকে গরু চরানোর সময় স্থানীয় ৭ বাংলাদেশিকে অপহরণ করা হয়। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বাহারছড়ার শীলখালী থেকে দুইজনকে অপহরণ করেছিল দুবৃত্তরা। পুলিশের অভিযানে পরের দিন তারা উদ্ধার হয়। এছাড়া গতবছরের ১৮ ডিসেম্বর একই ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার একটি পাহাড়ের ভেতর খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন ৮ জন স্থানীয় ব্যক্তি। পরে মুক্তিপণ দিয়ে তারা ফিরে আসেন। একইভাবে গত ২৯ সেপ্টেম্বর একই উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী ও মরিচ্যাঘোনার পাহাড়ি এলাকা থেকে পাঁচ কৃষককে অপহরণ করা হয়েছিল।