advertisement
advertisement
advertisement

টেকনাফে ফের অপহরণ
উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

১৮ মার্চ ২০২৩ ১২:০০ এএম
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৩ ১২:০২ এএম
advertisement

কক্সবাজারের টেকনাফে প্রায়ই অপহরণের শিকার হচ্ছে মানুষ। সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতঙ্কে রয়েছেন উপজেলার পাহাড়ি এলাকার লোকজন। দিনমজুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণির লোকজনকে অপহরণকারীচক্র পাহাড়ে ধরে নিয়ে যায়। পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয় আটককারীদের। গতকাল আমাদের সময়ের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এবার কক্সবাজারের টেকনাফে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকা থেকে ‘মুক্তিপণের দাবিতে’ ৯ জনকে অপহরণ করেছে অস্ত্রধারীরা। পরে দুই শিশুকে ছেড়ে দিলেও জিম্মি রয়েছেন সাতজন। গত ছয় মাসে টেকনাফের পাহাড় থেকে ৪১ জন অপহরণের শিকার হন, যা সত্যি আতঙ্কের বিষয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, অপহরণকা-ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুরাহা হচ্ছে না। আবার অপরাধীদের হুমকি-ধমকির কারণে অনেক ভুক্তভোগী বা তাদের স্বজনরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের কাছে অভিযোগ জানাতেই সাহস পাচ্ছেন না। অনেক স্বজন র‌্যাব-পুলিশকে না জানিয়ে অপহরণকারীদের হাতে মুক্তিপণের টাকা তুলে দিচ্ছেন। সরকারি খাতায় এসব ঘটনা লিপিবদ্ধ হচ্ছে না। সেজন্য অপহরণকারীচক্রের সদস্যরা থেকে যাচ্ছে অধরা। কোনো কোনো ঘটনা ঘটছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে। সাধারণ মানুষের মধ্যে জেঁকে বসেছে অপহরণ আতঙ্ক। অন্যদিকে অপহরণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও ভাবিয়ে তুলেছে। যদিও তাদের পক্ষে বলা হচ্ছে, অপহরণকারীদের বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে এসে আবারও অপহরণের মতো অপরাধে ফিরে যাচ্ছে। অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত না করা গেলে এমন ঘটনা বারবার ঘটবে। আর ভুক্তভোগী অনেকেরই অভিযোগ, অপহরণের পর পুলিশ ও র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করে কার্যকর সহায়তা পাওয়া যায় না। তাই কখনো কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে না জানিয়ে অপহরণকারীদের দাবিকৃত অর্থ পরিশোধ করে স্বজনকে ছাড়িয়ে আনেন। অপহরণকারীচক্রের সদস্যদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে না পারলে এ অপরাধ আরও বাড়বে। আতঙ্ক ছড়াবে জনমনে। যা কখনো উচিত নয়। আমরা বলব, অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নেবে। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকা শান্ত রাখার জন্য অপরাধীদের ধরে কঠির শাস্তি দিতে হবে। পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে সবাইকে। অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে হবে।

advertisement