advertisement
advertisement
advertisement

বঙ্গবন্ধু : শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির দিশারি

ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান
১৮ মার্চ ২০২৩ ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৩ ১২:০২ এএম
advertisement

১৭ মার্চ- যেন একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দিবস। কারণ এই মহৎ দিনটি হলো স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, অদম্য সাহসী, চিরসংগ্রামী এক মহামানবের জন্ম দিবস। তিনি হলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক শব্দ। বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবোজ্জ্বল এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বাংলার স্বাধীন রক্তিম সূর্যের উদয় হয়েছিল। সেদিন শেখ লুৎফর রহমান ও শেখ সায়েরা খাতুনের কোল আলোকিত করে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন বাঙালির মুক্তির মহানায়ক, অসহায় এবং শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির দিশারি, আশা-ভরসার কেন্দ্রবিন্দু, বিশ্বনেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালিরা বিশ্বের মানচিত্রে একটি স্বাধীন দেশ অর্জন করেন। এই স্বাধীনতা প্রত্যেক বাঙালির জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি ও অর্জন। স্বাধীনতা নামক এই সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাঙালির জীবনে কোনোদিনই সম্ভব হতো না- যদি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হতো।

advertisement

স্কুলজীবনেই বঙ্গবন্ধুর মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে তাকে জেলে যেতে হয়। পরে ১৯৪৮ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতির দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট চলাকালে বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফন্ট নির্বাচন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি সৃষ্টি ও নেতৃত্বদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনা সম্ভব হয়। বঙ্গবন্ধু শুধু একটি স্বাধীন দেশই দিয়ে যাননি, বাংলাদেশের গরিব-দুঃখীসহ সব নাগরিক যাতে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারেন, এ ব্যবস্থাও করে দিয়ে গেছেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। সোনার বাংলার আদর্শিক ও মৌলিক চরিত্র হলো স্বনির্ভর অর্থনীতি, উন্নত শাসনব্যবস্থার বাস্তবায়ন, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা ও ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়ে তোলা- যা এখনো ব্যাপক চ্যালেঞ্জ। শোষণমুক্ত রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হলে মুজিব আদর্শকে ধারণ করে প্রত্যেক নাগরিককে অবশ্যই মানবিক হতে হবে।

বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হবে। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের আদর্শের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ। মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমান তার ধর্মকর্ম পালন করবে, হিন্দু তার ধর্মকর্ম পালন করবে, বুদ্ধিস্ট তার ধর্মকর্ম পালন করবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। তবে একটা কথা হলো, ধর্মের নামে আর ব্যবসা করা যাবে না।’ বঙ্গন্ধুর এই অমর বাণীর মর্মার্থ ‘বার্তা’ হিসেবে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে- যাতে তারা এ বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেন, সচেতন হতে পারেন। তা হলেই আমরা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করতে পারব।

advertisement

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বাংলার আকাশে শুধু স্বাধীন রক্তিম সূর্যের উদয় হয়নি, প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের বুকে সেদিন একটি নতুন উন্নত আদর্শিক রাষ্ট্রেরই জন্ম হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা যে রাষ্ট্রটি অর্জন করি, সেটি শুধু একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল নয়; আদর্শিক দিক থেকে সেটি ছিল একটি শোষণমুক্ত, গণমানুষের অধিকারপূর্ণ, সাম্যবাদী, সব ধর্মাবলম্বীর ধর্মীয় স্বাধীনতার চিরপ্রতিষ্ঠা ও সব মানুষের মুক্তচিন্তার নিশ্চয়তা বিধানের অভাবনীয় বীরত্বপূর্ণ চেতনার বিজয়। ওই বিজয়ের একমাত্র মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর সেই মহানায়কের দেখানোর পথেই চলছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতিহাসের কী সুন্দর পরিণতি- একজন পিতা হাজারো অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে বিশ্বের বুকে সর্বজনীন আদর্শিক একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন আবার তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ওই স্বাধীন দেশকে অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ সব দিক থেকে বিশ্বের বুকে সফল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পিতা ও কন্যার এমন সাফল্য, সুযোগ্য নেতৃত্ব বিশ্বের ইতিহাসে সত্যিই বিরল।

স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু তার নিজস্ব চিন্তাভাবনার মাধ্যমে সুচিন্তিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন; পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও দেশীয় রাজাকার কর্তৃক নির্মম-নিষ্ঠুর ধ্বংসলীলায় ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন; একটি উন্নত এবং আধুনিক সংবিধান প্রণয়ন করেন; মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন, ত্রাণ কার্যক্রম, স্বাধীন বাংলার প্রশাসনিক পদক্ষেপ, ভারতীয় বাহিনীর সদস্যদের ভারতে ফেরত পাঠানো, ১৯৭২ সালের সংবিধান রচনা, ১৯৭৩ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, উৎপাদন বৃদ্ধি, অবকাঠামোর উন্নয়ন, খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ বিভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন, বৈরী মনোভাব নয়- সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা, ইন্টারন্যাশানাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট জারি, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি সম্পাদন, শিক্ষা কমিশন গঠন, যমুনা সেতু নির্মাণের সূচনা, বিভিন্ন সংস্থার সদস্যপদ লাভ এবং গ্রহণ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুনর্গঠন, ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ, কৃষিঋণ মওকুফকরণ, স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নে ৫০০ ডাক্তারকে গ্রামে নিয়োগ, থানা স্বাস্থ্য প্রকল্প গ্রহণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গঠন, বৈদেশিক বাণিজ্য শুরু, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে বাংলাদেশ রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনীতিসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি শক্ত অবস্থানে দাঁড়ায়।

যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু গৃহহীন মানুষের জন্য বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। বঙ্গবন্ধু তার শাসনামলে শিল্প উন্নয়নেও বড় ধরনের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করেন। এভাবেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের অবকাঠামোর শক্তিশালী ভিত তৈরি করেন। কৃষি, স্বাস্থ্য, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুৎতায়ন, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করা, বাস্তবসম্মত পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নসহ সব দিক থেকেই মাত্র সাড়ে তিন বছরেই বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড় করাতে সক্ষম হন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর হাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে গবেষণার জন্য বঙ্গবন্ধু তৎকালীন আইপিজিএমঅ্যান্ডআরকে গবেষণা করার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান এবং এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ১০০ থেকে ৫০০-তে উন্নীত করেন। দেশের এই অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যেও বঙ্গবন্ধু চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনারও স্বাস্থ্য খাতের প্রতি বিশেষ সহানুভূতি রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) এগিয়ে নিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার রয়েছে অসামান্য অবদান। বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কোভিড-১৯জনিত প্যানডেমিকের সফল মোকাবিলা, অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন এবং জীবনমান সচল রাখার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ প্রণীত সূচকে ‘কোভিড-১৯ সহনশীলতাক্রম’ অনুযায়ী বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ ও সারাবিশ্বে ২০তম অবস্থান অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের এ সাফল্যকে প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশ ও সহযোগিতায় বিএসএমএমইউয়ের বর্তমান প্রশাসন ভ্যাকসিন সেন্টার, ফিভার ক্লিনিক, টেলিমেডিসিন সেবা, পিসিআর ল্যাব সার্ভিস, হাসপাতালে পৃথক কোভিড-১৯ সেবা কার্যক্রম স্থাপন এবং বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ ফলোআপ ক্লিনিক, বঙ্গমাতা কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল চালু করাসহ নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে করোনা মহামারী সফলভাবে মোকাবিলা করতে বিশাল অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। একই সঙ্গে দুর্যোগকালে চিকিৎসা-শিক্ষা, সেবা ও বহুবিধ গবেষণার মাধ্যমে উন্নত সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করেছেন বলেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নীত হতে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। এ কারণেই রাষ্ট্র পরিচালনায় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে এবং মনের মণিকোঠায় বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা চিরঅমর হয়ে বেঁচে থাকবেন। এ কথা শতভাগ জোর দিয়েই বলা যায়- যতদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাতে থাকবে আমাদের এই প্রিয় স্বদেশ, ততদিনে পথ হারবে না বাংলাদেশ।

আগামীতে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে যাতে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় নেতাদের হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসতে পারে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা, ইতিহাসের সফল রাষ্ট্রনায়ক ও জননেত্রী শেখ হাসিনা যাতে আবারও বাংলাদেশকে পরিচালনার সুযোগ পান- এ লক্ষ্যে আমাদের সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে এবং নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। চিরজীবী হোক মহান মুক্তিযুদ্ধার চেতনা। চিরজাগ্রত থাকুক, অনির্বাণ শিখার মতো জ্বলজ্বল করুক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।

ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান : অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ এবং কোষাধ্যক্ষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়