দীপু মনি, শিক্ষামন্ত্রী
‘স্বাধীনতার ৫২ বছরে নারীর অগ্রগতিতে প্রাপ্তি অনেক। অধিকার প্রশ্নে নারীরা অনেক দূর এগিয়ে গেলেও সামাজিক কিছু রক্ষণশীলতা এখনো আছে। সর্বোচ্চ পদে থাকলেও নারী নিরাপদ নয়।’ গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর বিজয়নগরে একটি হোটেলে মহিলা পরিষদের জাতীয় পরিষদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম।
দীপু মনি বলেন, ধর্ষণের মতো অপরাধ থেকে সমাজকে মুক্ত করতে হবে। এর আচরণগত দায় পুরুষের। নারী-পুরুষের সাম্য প্রতিষ্ঠা এবং নারীর অংশীদারত্ব বৃদ্ধি করতে হলে পুরুষকে এ আন্দোলনে যুক্ত করতে হবে। নারীর অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হলে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় নারীবান্ধব রাজনীতি ও নারী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডা. শাহলা খাতুন বলেন, দেশের নেতৃত্বের উচ্চপর্যায়ে নারীরা এলেও এখনো অনেক নারী বঞ্চনার শিকার। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আরও উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম বলেন, নারীর প্রতি বৈষম্য রোধে মহিলা পরিষদ সাংগঠনিকভাবে জোরালো ভূমিকা পালন করছে।
সুইডেন এম্বাসির অ্যাম্বাসেডর মিস আলেক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ড বলেন, খুলনা, কুড়িগ্রাম, চট্টগ্রামের নারীদের যে কোনো পরিস্থিতিতে লড়াই করার ক্ষমতা দেখে আমি বিস্মিত। এদেশের সামাজিক প্রথা, বৈষম্যপূর্ণ সামাজিক রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে নারীদের এগিয়ে নেওয়ার শক্তি ও সক্ষমতা বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের রয়েছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারীর ক্ষমতায়নকে টেকসই করতে হলে নারীর সমানাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে অধিক সংখ্যক নারী নেতৃত্ব তৈরি, সিডও সনদ বাস্তবায়নসহ সকল আন্তর্জাতিক সনদের পূর্ণ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন, নীতিনির্ধারণ থেকে তৃণমূলসহ সকল ক্ষেত্রে সৃজনশীল উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং তথ্যপ্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহার করতে হবে। ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারী অধিকারের ও বৈষম্য দূরের লড়াই নারীকে সঙ্গে নিয়েই করতে হয়ে। সামাজিক রক্ষণশীলতাকে ভেঙে নারী উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হবে।