রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সায়েন্স ক্লাবের নবম কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল লতিফ সভাপতি এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ আহমেদ সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার শিক্ষক-ছাত্র সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এই কমিটি ঘোষণা করেন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান। এসময় ৭ সদস্যদের কমিটি ঘোষণা করা হয় এবং অতিশিগগিরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার জন্য নতুন কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের কারিমা খাতুন ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের নাজনীন আরা নিশু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সায়েম আলম, কোষাধ্যক্ষ ফার্মেসি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শেখ সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের গোলাম রাব্বি।
কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম এবং প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বিধান চন্দ্র দাস, আরইউএসসি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য রেজাউল করিম, আজীবন সদস্য সৌরভ পাল ও শের আলী এবং ক্লাবের সদ্যবিদায়ী সভাপতি আবিদ হাসান প্রমুখ।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা চাই উন্নয়ন, আমরা চাই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। পূর্বের চাইতে আমাদের ভালো কিছু করতে হবে। দেশব্যাপী এখন রাবি সায়েন্স ক্লাবের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। শারীরিক শক্তি প্রকাশ না করে, বিজ্ঞানের শক্তি কাজে লাগালেই জাতি এগিয়ে যাবে। যুক্তির শক্তি কাজে লাগাতে হবে। সফলতা কোনো শর্টকাট পদ্ধতি নেই। সফলতার জন্য পরিশ্রম ও ধৈর্যের প্রয়োজন।’
নতুন কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তোমরা যারা নতুন কমিটিতে আসবে, তারা বিজ্ঞানের কাজ করতে থাকবে। বিজ্ঞানের সকল ক্ষেত্রে তোমাদের অবদান দেখতে চাই। নিজেদের কখনো সংকীর্ণ করবে না। নিজেদের জাতির উদ্দেশে বিলিয়ে দিবে। তোমাদের সকল কাজ যেন মানব কল্যাণে আসে।’
প্রফেসর বিধান চন্দ্র দাস বলেন, ‘বিজ্ঞানের পরিধি ব্যাপক। বিজ্ঞান প্রচারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুততার সঙ্গে। বিজ্ঞান বলতে বর্তমানে আমরা যেটা বুঝি আসলে বিজ্ঞানের পরিসর তার চেয়ে ব্যাপক। যার ভিত্তি মূলত দর্শন। আমরা যদি অতীতের দিকে দৃষ্টিপাত করি, তাহলে দেখতে পাই তা দর্শন থেকেই উৎপত্তি লাভ করেছে। মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা, বিজ্ঞান সবই হলো বিজ্ঞানের শাখা।’
উল্লেখ্য, ‘পাই দিবস উদযাপন এবং নতুন কমিটি হস্তান্তর-২০২৩’ অনুষ্ঠানটি ১৪ মার্চ পালন করার কথা থাকলেও ক্যাম্পাসে অনাকাঙ্ক্ষিত অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজমান থাকায় প্রোগ্রামটি সেদিন স্থগিত করা হয়। পাই দিবস উপলক্ষে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অলিম্পিয়াড এবং পাই এর মান লেখা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। যেখানে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তিন স্তরের প্রতিযোগিদের মধ্যে প্রথম তিনজনকে ক্রেস্ট ও আর্কষণীয় উপহার দেওয়া হয়।