advertisement
advertisement
advertisement

প্রতারিত হয়ে খেলা ছাড়তে চেয়েছিলেন রেকর্ডের মালিক হৃদয়

স্পোর্টস ডেস্ক
১৯ মার্চ ২০২৩ ১২:৪৭ পিএম | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০১:০৮ পিএম
ওয়ানডেতে দেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে হৃদয় জিতেছেন অভিষেকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ছবি: সংগৃহীত
advertisement

গত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছেন। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির পর এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে অভিষেক। ওয়ানডেতে তো চমকই দেখালেন। সবাই তাকে তৌহিদ হৃদয় হিসেবে চিনেলেও, সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে তাওহিদ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিলেন।

গতকাল সিলেটে ওয়ানডে অভিষেকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন হৃদয়। দেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে জিতেছেন এই সংস্করণে অভিষেকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। রাঙিয়ে ৯২ রানের ইনিংস খেলে। তবে এত দুর্দান্ত শুরুটা যার হয়েছে, তিনি নাকি এক সময় প্রতারিত হয়ে ক্রিকেটই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন।

advertisement

বগুড়ার সন্তান হৃদয়ের ইচ্ছে ছিল বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়ার। সেই শখ পূরণ হয়নি। পরে তিনি ভর্তি হন ঢাকার বনশ্রীর একটি ক্রিকেট একাডেমিতে। বাবাকে না জানিয়ে জমি বন্ধক রেখে টাকা জোগাড় করে দিয়েছিলেন তার মা। কিন্তু সেই একাডেমি ছিল আসলে ভুয়া। বড় চোট লাগে হৃদয়ের হৃদয়ে। কষ্টের টাকা গচ্চা দিয়ে ভাঙা মন নিয়ে তিনি ফিরে যান।

বছর তিনেক পর তাকে রাজশাহীর বাংলা ট্র্যাক একাডেমিতে নিয়ে যান বিসিবি পরিচালক ও ওই একাডেমির কোচ খালেদ মাহমুদ। হৃদয়ের ক্রিকেটার হয়ে ওঠার অভিযান শুরু হয় আবার। অভিষেক ম্যাচে ম্যাচ সেরা হয়ে সংবাদ সম্মেলনে হৃদয় ফিরে গেলেন সেই সময়টায়।

advertisement

হৃদয় বলেন, ‘যখন একাডেমিতে গিয়েছিলাম, অনেককিছু আসলে ক্ষতি করেই গিয়েছিলাম ওখানে। তারপর একটা সময় ক্রিকেট খেলার কোনো ইচ্ছে ছিল না। পরিবার থেকে ওভাবে কোন সাপোর্ট ছিল না, বাবার সাপোর্ট ছিল না, যদিও বাবা খেলা বুঝে না। আমি যখন জেদ ধরতাম মায়ের সঙ্গে, যতটুকু পেরেছে আর কী চেষ্টা করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটা সময় আমার খেলার ইচ্ছে ছিল না। সেসময় সুজন স্যার (খালেদ মাহমুদ) আসলে সেই ছোট বেলাতেই, যখন আমি অনূর্ধ্ব-১৬ খেলি, সুজন স্যার ওখান থেকে নিয়ে এসেছে এবং উনি সুযোগ করে দিয়েছে। ওখান থেকে ফাস্ট ডিভিশন খেলে আস্তে আস্তে উঠে আসা।’