advertisement
advertisement
advertisement

সনদ আনা হলো না আফসানার

মুরাদুল ইসলাম,গোপালগঞ্জ
১৯ মার্চ ২০২৩ ১১:০৮ পিএম | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ১১:৩২ পিএম
আফসানা মিমি (বাঁয়ে) ও তাঁর মায়ের আহাজারি
advertisement

বাবাহারা আফসানার শিক্ষাজীবন শেষ হয়েছিল সফলতার সঙ্গেই। কিন্তু সনদ (সার্টিফিকেট) আর আনা হলো না। আজ রোববার সকালে মাদারীপুরের বাস দুর্ঘটনায় অকালে ঝরেছে তার প্রাণ।

গোপালগঞ্জ জেলা শহরের বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী আফসানা মিমি পড়াশোনা করেছেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগ থেকে এমএস (মাস্টার্স) করেছেন তিনি।

advertisement

আফসানার বাবা আবু হেনা মোস্তফা কামাল ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। ছোটবেলায় বাবাকে হারান আফসানা। অনেক কষ্টে আফসানা ও তার বোন রুকাইয়া ইসলাম রূপার লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন মা কানিজ ফাতেমা।

আফসানার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ‘সার্টিফিকেট আনতে যাওয়াই কাল হলো’বলে বিলাপ করছেন কানিজ ফাতেমা। তাকে আশপাশের লোক সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কোনোভাবেই তাকে শান্ত করা যাচ্ছে না।

advertisement

স্বজনরা জানান, রোববার সকালে কানিজ ফাতেমা ও ছোট বোন রুকাইয়া ইসলাম রূপা গোপালগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে থেকে আফসানাকে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের বাসে তুলে দেন। আফসানার ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

মাদারীপুর জেলার শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে আফসানাসহ ১৮ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে গোপালগঞ্জের বেশ কয়েকজন রয়েছেন।

আরও পড়ুন: কর্মস্থলে ফেরা হলো না ব্যাংকার রাশেদের

তারা হলেন, জেলা শহরের সামচুল হক রোডের মাসুদ আলমের মেয়ে সুরভী আলম সুইটি (২২), গোপালগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক অনাদী রঞ্জন মজুমদার (৫৩), বাসের সুপারভাইজার মানিকদাহ গ্রামের মিজানুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে মিনহাজুর রহমান বিশ্বাস, দুর্ঘটনা-কবলিত বাসটির চালক জাহিদ, সদর উপজেলার বনগ্রামের সামসুদ্দিন শেখের ছেলে মোস্তাক শেখ (৪০) ও মুকসুদপুরের আদমপুর গ্রামের আনজু খানের ছেলে মাসুদ খান (৩০)।

পরিবহনের ম্যানেজার জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের বাসটিতে গোপালগঞ্জ জেলা থেকে ১৪ জন যাত্রী ওঠেন।