advertisement
advertisement
advertisement

শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে চবিতে অবস্থান কর্মসূচি

চবি প্রতিনিধি
২০ মার্চ ২০২৩ ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ১১:১৪ পিএম
advertisement

সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফেরার পথে বে-ওয়ান ক্রুজ জাহাজের স্টাফদের হাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রবিবার চবির মূল ফটকে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিভিন্ন বিভাগের একাধিক শিক্ষকও কর্মসূচিতে যোগ দেন। এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও চবি কর্তৃপক্ষকে বাদী হয়ে মামলা করার দাবি জানান। পাশাপাশি দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি

advertisement

দেন তারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে ৫ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিসমূহ হলোÑ হামলার সঙ্গে জড়িত জাহাজের স্টাফ সন্ত্রাসী বাহিনীকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার, বে-ওয়ান ক্রুজ জাহাজের লাইসেন্স আজীবনের জন্য বাতিল, বে-ওয়ান ক্রুজ জাহাজ কর্তৃপক্ষের মিথ্যা ও বানোয়াট স্টেটমেন্ট প্রত্যাহারপূর্বক লিখিত মুচলেকা দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া। হামলায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জানমালের যে ক্ষতি হয়েছে তার যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতির বিচার করা।

advertisement

চবি প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের কর্মকা-ে পুরো শিক্ষকসমাজ ব্যথিত। মামলা হস্তান্তরের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি রয়েছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মামলা হস্তান্তর না করে মামলায় বাদী ও সাক্ষ্য দেওয়া শিক্ষার্থীদের মামলা পরিচালনার জন্য সব রকমের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ নেবে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জেলে আছে। বাকিরা জামিনে বাইরে আছে।

গত ১৪ মার্চ সেন্টমার্টিন থেকে অর্থনীতি বিভাগে স্নাতকোত্তর ব্যাচ ট্যুর শেষে বে-ওয়ান ক্রুজ জাহাজে করে টেকনাফ ফিরছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, টেকনাফ থেকে ফেরার সময় আসনে বসা কেন্দ্র করে ঝামেলা সৃষ্টি করে বে-ওয়ান ক্রুজ জাহাজের স্টাফরা। প্রথমে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে দুই শিক্ষকসহ ও ১০ জনের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে জাহাজের স্টাফরা। পরে দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছানোর পর দ্বিতীয় দফায় আবারও হামলা চালানো হয়। এতে ২ জন শিক্ষক ও একজন ছাত্রীসহ প্রায় ২০ জনের অধিক আহত হয়। যার মধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।