advertisement
advertisement
advertisement.

কোপেনহেগেনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

কোপেনহেগেন থেকে
২২ মার্চ ২০২৩ ১১:১৭ পিএম | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৩ ১১:১৭ পিএম
advertisement..

ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে বাংলাদেশের ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোপেনহেগেনে বাংলাদেশ দূতাবাস স্থানীয় ক্রাউন প্লাজা হোটেলে দিবসটি উপলক্ষে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

advertisement

এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন নীতি বিষয়ক সচিব মিজ লটে ম্যাশন। আগত অতিথিদের মধ্যে পররাষ্ট্রসহ অন্য দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, পঞ্চাশের অধিক রাষ্ট্রদূত, চার্জ-দ্যা-অ্যাফেয়ার্স, কূটনীতিক কোরের সদস্য, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত শুভেচ্ছা বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তার নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে যে সব লাখো শহীদ দেশের জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন তাদের আত্মত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় নির্দেশনায় লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা একটি গর্বিত ও প্রত্যয়ী জাতি হিসেবে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণার প্রধান উৎস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বর্তমান সরকার একটি জ্ঞান নির্ভর ও ডিজিটাল মাধ্যম আয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়াও দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সমস্যা মোকাবিলাসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।’

পরিশেষে তিনি সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমসহ দেশের সমৃদ্ধিতে প্রবাসীদের অবদানের প্রশংসা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উন্নত, সমৃদ্ধিশালী ও কল্যাণকর রাষ্ট্রগঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে ও বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।

বক্তব্য শেষে মন্ত্রী, মিজ লটে ম্যাশন ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে শুভেচ্ছা জানিয়ে কেক কাটেন। এরপর সান্ধ্যভোজে দূতাবাসের আয়োজনে মুখোরোচক দেশি খাবার পরিবেশন করা হয়।