শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) সৈয়দ মুজতবা আলী হলে নবীন শিক্ষার্থীদের র্যগিংয়ের ঘটনায় জড়িত ১৬ শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় বহিষ্কৃত সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, মো. পাপন মিয়া, মো. রিয়াজ হোসেন, পায়েল আহমদ, মো. খালেদ সাইফুল্লাহ, রামীম আহমদ, মো. রাকিব হোসেন, অশেষ চাকমা, সৌরভ নাথ, শরীফুল ইসলাম, অনিক দাশ, মো. ফাহিম মিয়া, নয়ন চন্দ্র দে, মো. তোহা মিয়া, মো. আশিক হোসেন, মো. আল আমিন, মো. আপন মিয়া। তাদের নিজদের হল থেকে বহিস্কার ও সকল হলেই প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে যেকোনো শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে জড়িত হলে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে বলে সতর্ক করা হয়।
অন্যদিকে, গত ২৬ নভেম্বর নেশাগ্রস্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে ২০১৮-১৯ সেশনের এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের জীবন চন্দ্র সেন নামের এক ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের তাসফিকুল হক নামের এক শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষায় অসুদ উপায় অবলম্বনে ১২জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করেছে সিন্ডিকেট।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত ১৬ জনের প্রমাণ পাওয়ায় তাদেরকে হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের হলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কখনো হলে থাকতে বা প্রবেশ করতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় সিএসই বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনা ছাড়াও ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মাদকাসক্তসহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি আরেক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গাড়ি চালককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৭তম সিন্ডিকেট সভায় নেওয়া হয়েছে।