advertisementsp
advertisement
advertisement.

রেকর্ডের ম্যাচে বড় জয় পর্তুগালের, রোনালদোর জোড়া গোল

স্পোর্টস ডেস্ক
২৪ মার্চ ২০২৩ ১১:০৭ এএম | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩ ১১:০৭ এএম
রেকর্ড গড়ার রাতে রোনালদোর জোড়া গোল। ছবি: সংগ্রহ
advertisement..

কাতার বিশ্বকাপের নকআউটে ফার্নান্দো সান্তোসের দলে উপেক্ষিত হওয়ার পর মাঠে ফিরলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আন্তর্জাতিক ফুটবলে রেকর্ড গোল করা ফরোয়ার্ড এবার সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়লেন। এই রেকর্ডের ম্যাচকে তিনি স্মরণীয় করলেন জোড়া গোল করে।

বৃহস্পতিবার ইউরো বাছাইয়ে জে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে পর্তুগাল ৪-০ গোলে হারালো লিখটেনস্টেইনকে। একটি করে গোল করেন জোয়াও কানসেলো ও বের্নার্দো সিলভা।

advertisement

পর্তুগালের বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর নতুন করে রোনালদোর আর জাতীয় দলের জার্সি পরা হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে পর্তুগিজদের নতুন কোচ রবার্তো মার্টিনেজের দলে ঠিকই জায়গা পেয়ে যান এই মহাতারকা। আর তাই ইউরো বাছাইপর্বে মাঠে নেমে নিজেকে মেলে ধরতে ভুল করলেন না।

মরক্কোর কাছে হেরে গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায়ের পর কোচ ফের্নান্দো সান্তোসকে বরখাস্ত করে পর্তুগাল। পরে দায়িত্ব দেওয়া হয় বেলজিয়ামের সাবেক কোচ মার্তিনেসকে।

এই ম্যাচে মাঠে নেমে কুয়েতের বাদের আল-মুতাওয়াকে ছাড়িয়ে পুরষ আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি (১৯৭) ম্যাচ খেলার রেকর্ড একার করে নেন রোনালদো।

আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরু থেকে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরা পর্তুগাল সাফল্য পায় অষ্টম মিনিটে। ব্রুনো ফের্নান্দেসের কর্নার পাঞ্চ করে ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি লিখটেনস্টাইন গোলরক্ষক বুখেল। বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান কানসেলো। তার শটে বল এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে দিক পাল্টে গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে জালে জড়ায়।

ষোড়শ মিনিটে বক্সের ভেতর ভালো পজিশনে বল পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর শট করেন জোয়াও ফেলিক্স। ২৩তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হারান রোনালদো। গোলরক্ষককে একা পেয়েও কাছ থেকে উড়িয়ে মারেন ৩৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

তবে বিরতি থেকে ফিরে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি পর্তুগালকে। ৪৭তম মিনিটে বের্নার্দো সিলভা ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এর ঠিক ৩ মিনিট পর পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। স্পট কিক থেকে সেই যাত্রায় গোল করে দলকে আবারও লিড এনে দেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

খেলার ৫৮তম মিনিটে রোনালদো আরেকবার লক্ষ্যভেদ করলেও অফসাইডের ফাঁদে গোলটি বাতিল হয়। তবে ৬৩তম মিনিটে ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে সিআর সেভেনের নেওয়া বুলেট গতির শট লিখটেনস্টাইনের জাল কাঁপিয়ে তুলে। এর মধ্য দিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি আদায় করে নেন রোনালদো। গোলটি আন্তর্জাতিক ফুটবলে এই মহাতারকার ১২০তম গোল।

ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে রোনালদোর বদলি হিসেবে গনজালো রামোসকে নামান পর্তুগিজ কোচ মার্টিনেজ। তবে বাকি সময়টাতে দাপুটে ফুটবল খেললেও আর গোলের দেখা পায়নি পর্তুগাল। সবশেষ ৪-০ গোলের নিশ্চিত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রোনালদো- ফার্নান্দেজরা।

ম্যাচে পর্তুগালের একচেটিয়া আধিপত্যের প্রমাণ মেলে পরিসংখ্যানেও। ৮২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য স্বাগতিকরা শট নেয় ৩৫টি, যার ১১টি লক্ষ্যে। লিখটেনস্টাইন শট নিতে পারে স্রেফ ২টি, একটি লক্ষ্যে ছিল।

ম্যাচ শেষে রোনালদো বলেছেন, ‘আমি রেকর্ডের পিছে ছুটি না, রেকর্ড আমার পেছনে ছোটে।’

গত বিশ্বকাপে পর্তুগালের শেষ দুটি ম্যাচে তৎকালীন কোচ সান্তোস রোনালদোকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখেন। মরক্কোর কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ হয় তাদের বিশ্বকাপ। বেলজিয়ামের সাবেক কোচ মার্তিনেজ কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রথম ম্যাচেই রোনালদোকে দলে ফেরান। দল ঘোষণার পর তিনি বলেন, ‘আমি বয়সের দিকে তাকাই না, অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেই।’ তাকে হতাশ করেননি রোনালদো, প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করে দিলেন প্রতিদান।