advertisement
advertisement
advertisement.

বিএনপির রাজনীতির অধিকার থাকতে পারে না

তারানা হালিম, কার্যনির্বাহী সদস্য, আওয়ামী লীগ

রাজশাহী ব্যুরো
২৫ মার্চ ২০২৩ ১২:০০ এএম | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩ ১১:৫৩ পিএম
advertisement..

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, ‘আমাদের ৩০ লাখ শহীদকে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে বিএনপি ও জামায়াত। আর কেউ এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেনি। বিএনপির এক নেতা বলেছেন, তারা (বুদ্ধিজীবীরা) স্টুপিডের মতো কাজ করেছেন। আমাদের দেশের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিয়ে যারা এ ধরনের কথা বলেন, জামায়াতের মতো তাদেরও বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না।’

জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পসে এক আলোচনাসভায় তারানা হালিম এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ‘ওয়ান বাংলাদেশ’ এ সভার আয়োজন করে।

advertisement

বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়ার পেছনে দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তারানা হালিম। তিনি বলেন, যে কারণে ভিয়েতনামকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিতে চায় না, যে কারণে পাকিস্তান কখনোই বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চায় না; যে কারণে মার্কিন সরকার হিরোশিমা-নাগাসাকির নিরীহ জনগণের ওপর পারমাণবিক বোমা ফেলার পরও ক্ষমা চায় না; যে কারণে আমেরিকা ও চীন সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে চায় না; কারণ, তাদের ইতিহাসটাও প্রকাশিত হয়ে পড়বে। সেই একই কারণে আমাদের দেশের অভ্যন্তরেও ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের কারণে আমাদের দেশের অভ্যন্তরে একটা বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। যতদিন জামায়াত-শিবির থাকবে, ততদিন এই বিভাজন থাকবেই।’

ওয়ান বাংলাদেশের হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্টের সাধারণ সম্পাদক নবনীতা চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ান বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক মো. রশীদুল হাসান। এতে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শাহ আজম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যদ্বয় মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও মো. হুমায়ুন কবীর প্রমুখ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।