আগের দিন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ঢাকায় ফিরে পরের দিনই প্রিমিয়ার লিগে মাঠে নেমে পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেঞ্চুরি না পেলেও লিগে সব সময় উজ্জ্বল তামিম ইকবাল। ব্যত্যয় ঘটেনি গতকালও। গত আসরে যেখানে শেষ করেছিলেন, এবার শুরু করলেন ঠিক সেখান থেকেই। অর্থাৎ টানা দুই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে গত আসর শেষ করেন তিনি। এবার নিজের প্রথম ম্যাচেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেলেন তামিম। তার অপরাজিত ১০৯ রানের সুবাদে জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংকও। তারা ৭ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডানকে। ১৯৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল মোহামেডানের ইনিংস। তামিম ও মুশফিকের নৈপুণ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় প্রাইম ব্যাংক। ১২টি চারের সাহায্যে ১৫৬ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলা তামিম জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারটিও।
নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা মোহামেডানের ইমরুল, সৌম্য, মাহমুদউল্লাহরা জ্বলে উঠতে পারেননি। ফলে বড় ইনিংস পায়নি ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। ২২ রান করে আউট হন অধিনায়ক ইমরুল। সৌম্য করেন ১৭ রান। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেমে যায় ১৮ রানে। মোহামেডানের প্রথম ৭ ব্যাটসম্যানের প্রত্যেকে ব্যক্তিগত রান দুই অঙ্কের ঘরে নিয়ে গেলেও সেটি ফিফটিতে রূপ দিতে পারেননি কেউই। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান নাসির হোসেন। ২০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৮৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। তবে তামিম ও মুশফিকের ব্যাটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দলটি। দুজন ১১৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। মুশফিক ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এদিকে লিগে টানা চতুর্থ জয়ের দেখা পেয়েছে মাশরাফির রূপগঞ্জ। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে রূপগঞ্জ বৃষ্টি আইনে ৩ উইকেটে হারিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে। শাইন পুকুর ক্রিকেট ক্লাবের অমিত হাসানের সেঞ্চুরি মøান করে ম্যাচে আলো কেড়ে নেন মাশরাফিরা। অমিত ১০৪ রানের অনদব্য ইনিংস খেলেন। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে সব কটি উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান তুলে শাইনপুকুর। জবাবে বৃষ্টির আইনে জয়ের জন্য ৩৬ ওভারে ১৬৮ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় রূপগঞ্জের। ৭ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেন মাশরাফিরা। আগে ব্যাটিংয়ে নামা শাইনপুকুরের ৯০ রানে ৪ উইকেট পতনের পর পঞ্চম উইকেটে ১০৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক অমিত ও সাজ্জাদুল হক। সাজ্জাদুল ৫৭ রানে থামলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন অমিত। ৯টি চারে ১৪৪ বলে ১০৪ রান করেন অমিত। ভারতীয় চিরাগ জানি সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পান। মাশরাফি শিকার করেন ৩ উইকেট। জবাবে সাব্বিরের ৩৬, ইরফানের ৪৩ ও জানির ৪২ রানের সুবাদে জয় পায় রূপগঞ্জ।
অপর ম্যাচে ফজলে মাহমুদের সেঞ্চুরিতে জয়ের ছন্দে রয়েছে শেখ জামালও। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে বৃষ্টি আইনে শেখ জামাল ১১ রানে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। ১০১ রান করেন ফজলে মাহমুদ। ৪ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থাকায় টেবিলের শীর্ষে শেখ জামাল। সাভারের বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে জয়ের জন্য ২৯ ওভারে ২০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯৫ রানে গুটিয়ে যায় ব্রাদার্সের ইনিংস। সাব্বির সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন।