ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার সরকারের নেওয়া ‘বিচারব্যবস্থা সংস্কারের’ উদ্যোগের বিরুদ্ধে কথা বলার পরদিন গতকাল রোববার তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দেশটিতে গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার রাতে রাজধানী তেলআবিবে বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলের পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় টায়ার জ্বালিয়ে হাইওয়েসহ তেলআবিবের সব রাস্তা বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা যায়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন, রয়টার্স, আলজাজিরাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারব্যবস্থা সংস্কারের আইনটি চলতি সপ্তাহে পার্লামেন্টে পাস করতে চাচ্ছে নেতানিয়াহু সরকার। এই আইনের মূল দিকটি হলো- সব ধরনের বিচারিক নিয়োগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা পাবে উগ্র-ডানপন্থী ক্ষমতাসীন জোট।
সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে অস্থিরতার কথা উল্লেখ করে গ্যালান্ট বিতর্কিত আইনটি পাসের প্রক্রিয়া আগামী মাসে স্বাধীনতা দিবসের ছুটির পর পর্যন্ত স্থগিত রাখার আহ্বান জানান। এরপরই এক দিনেরও কম সময়ের মধ্যে তাকে সরিয়ে দেয়ার এ সিদ্ধান্ত এলো।
এদিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করায় সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ ও বেনি গান্তেজ। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘রাজনীতির খেলায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কখনোই তুরুপের তাস হতে পারে না। নেতানিয়াহু আজ রাতে চূড়ান্ত সীমারেখাও অতিক্রম করেছেন।’
বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টিকে ‘জাতীয় নিরাপত্তা বিপর্যস্ত’ করার কার্যক্রমে হাত না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইয়ার লাপিদ ও বেনি গান্তেজ।
অন্যদিকে, বিচারব্যবস্থা সংস্কারে নেতানিয়াহু সরকারের উদ্যোগের প্রতিবাদে দেশটিতে গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই পদক্ষেপে সামরিক বাহিনী ও ব্যবসায়ী নেতৃত্বও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলো।
নেতানিয়াহুর ডানপন্থী লিকুদ পার্টির জ্যেষ্ঠ সদস্য গ্যালান্ট। দলের নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে তিনিই প্রথম শনিবার বিচারব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে নেওয়া আইনি উদ্যোগ স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন।