লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমদ বলেছেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। আজ স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে তার নাম মুছে ফেলতে সরকার নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
আজ সোমবার এলডিপি আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এলডিপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার, নিপীড়ন, গণহত্যায় মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক তখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উজ্জীবিত করেন এবং নিজে অস্ত্র হাতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলেন।’
রেদোয়ান আহমদ দেশের বর্তমান পেক্ষাপটের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই অবস্থা চলতে দেওয়া যাবে না। এই স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্ত হতে আন্দোলন-সংগ্রামের বিকল্প নেই। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। সবাই মাঠে নামলে অচিরেই এই অবৈধ সরকারের পতন হবে ইনশাআল্লাহ।’
এলডিপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সাহাদাত হোসেন মানিকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট এসএম মোরশেদ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরী, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলু, ঢাকা মহানগর উত্তর এলডিপির সাধারণ সম্পাদক অবাক হোসেন রনি, পূর্বের সাধারণ সম্পাদক অসিম ঘোষ, গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহান, গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খালিদ বিন জসিম, আইনজীবী ফোরামের সভাপতি নূরুল আলম, সাংস্কৃতিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ, কৃষকদলের সভাপতি এবিএম সেলিমসহ প্রমুখ।