সোনালী মুরগি ২৮৫ টাকা কেজি দরে কিনে ৩৩৫ টাকায় বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর কাপ্তান বাজারের একটি আড়ত সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ সোমবার সকালে কাপ্তান বাজারের ‘জনতা হাঁসমুরগির আড়ৎ’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি জাকারিয়া নামের ওই আড়তের এক প্রতিনিধিকে (লাইনম্যান) বাজার মালিক সমিতির হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ক্রয় রশিদ না থাকা ও বেশি দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় আল আমিন ট্রেডার্স নামে একটি দোকানের মালিককে এক হাজার টাকা জরিমানা করেছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: ভারতের দ্বিগুণ দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশে
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘আজ কাপ্তান বাজারে পাইকারি যে দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হওয়ার কথা সেই দামে বিক্রি হচ্ছে না। কেউ ১৭০ টাকা, কেউ ১৭৫ টাকা করে ব্রয়লার মুরগি কিনেছেন। এই দামে কিনলে কত টাকা করে বিক্রি করা যায় তা আমরা বিক্রেতাদের কাছে জানতে চেয়েছি। কেউ বলেছেন ১৯০ টাকা, কেউ বলেছে ১৮৫ টাকা করে বিক্রি করা যায়। কিন্তু বাজারে ১৯০ টাকা করে কোথাও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে না। এ জন্য আমরা বাজার সমিতিকে ডেকেছি এবং তাদের বিষয়টি অবহিত করেছি।’
আরও পড়ুন:রমজানে বাড়ল রেমিট্যান্স
তিনি আরও বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম অনেকটা কমে এলেও সোনালী মুরগির ক্ষেত্রে এখনো অস্থিরতা রয়েছে। খুচরা পর্যায়ে কোনো ব্যবসায়ী ৩৩৫ টাকা কেজিতে সোনালী মুরগি বিক্রি করছেন, কেউ ৩৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। আবার একই মুরগি কেউ ৩৩০ টাকায় বিক্রি করছেন। এ জন্য আমরা মুরগির আড়ৎ তদারকি করতে যাই। সেখানে গিয়ে আমরা অনিয়ম পাওয়ায় একটি আড়তকে সাময়িকভাবে বন্ধ করেছি। পাশাপাশি ওই আড়তের একজন প্রতিনিধিকে আমরা সমিতির হেফাজতে রেখেছি।’
ওই আড়তের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক আরও বলেন, ওই লাইনম্যান ক্রয় রশিদ রাখেনি। আমরা বারবার বলছি, ক্রয় রশিদ এবং বিক্রয় মূল্য থাকতে হবে। আমরা পাইকারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ২৮৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত সোনালী মুরগি কিনেছেন। এখন সেই মুরগি ১০ টাকা লাভে বিক্রি করলে সর্বোচ্চ ৩১০ টাকায় বিক্রি করার কথা। কিন্তু ওই আড়তে ৩৩০ থেকে ৩৩৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এটা ব্যবসায়ীদের নৈতিকতাবিরোধী। তাই তাদের জবাবদিহিতার আওতায় এনে আমরা আমাদের অফিসে ডেকেছি।’
আরও পড়ুন: ৩০ মার্চ থেকে হাসপাতালে ভিজিট নিয়ে রোগী দেখবেন চিকিৎসকরা
এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান আব্দুল জব্বার মণ্ডলসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।