বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে নিউইয়র্কের একটি ব্যস্ততম রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ স্ট্রিট। জ্যাকসন হাইটসের সেভেনট্রি থার্ড স্ট্রিট এখন থেকে এই নামে পরিচিত হবে। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার দুপুরে সেখানে একটি অনুষ্ঠানের আয়জন করা হয়। এতে মুলধারার রাজনীতিবিদসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি যোগ দেন।
স্থানীয় ২৫ ডিস্ট্রিক্টের কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণানের উদ্যোগে নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার এই রাস্তার নতুন নামকরণ করা হলো। এমনিতেই ঐ এলাকাটি উৎসবমুখর থাকে বাংলাদেশিদের পদচারণায়। নতুন নামকরণের ফলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উচ্ছ্বাস ছিল অনেক বেশি। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন ইউএস কংগ্রেস ওম্যান গ্রেস ম্যাংসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে জার্মানির রাস্তায় উড়ল বাংলাদেশের পতাকা
জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের (জেবিবিএ) নেতারা অনেকদিন ধরে, রাস্তাটির নামকরণ নিয়ে কাজ করে আসছিলেন। নিউইয়র্কে দুটি এলাকায় লিটল বাংলাদেশ এভিনিউ নামকরণের পর এবার গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটির নাম হওয়ায় খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা বলছেন, এভাবেই যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের অবদান স্বীকৃতি পাচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেবিবিএ এর সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান, কামরুজ্জামান কামরুল, গিয়াস আহমেদ, আবু জাফর মাহমুদ, রুহুল আমিন সিদ্দিকী, মোহাম্মদ আলী, মোর্শেদ আলম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, শাহানা রহমান, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, মাওলানা কাজী কায়্যূম, মাসুদ রানা তপন, তারেক হাসান খান, মোহাম্মদ নমি, মনিকা চৌধুরী, নাঈমা খান, ইভান খানসহ জেবিবিএ'র দুই গ্রুপের নেতারা।
আরও পড়ুন: হ্যামট্রামিক সিটির কাউন্সিলর হিসেবে আবু মুসার হ্যাটট্রিক জয়
শেখর কৃষ্ণান বাংলাদেশ স্ট্রিট নামকরণ করার বিষয়টি বাংলাদেশিদের সাফল্য হিসাবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘এই স্ট্রিটের নামকরণ বাংলাদেশ স্ট্রিট করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশি কমিউনিটির এখানে বিশেষ অবদান রয়েছে। এই অবদান তারা ধারাবাহিকভাবে রেখে চলেছেন। ৭৩ স্ট্রিট হচ্ছে বাংলাদেশিদের হার্ট। এখানে অনেক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশিরা আসেন। তাদের কমিউনিটিতে অনেক অবদান রয়েছে। তাদের জন্য এটি করতে পেরে আমি আনন্দিত।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ক্র্যাটলিনা ক্রুস, গ্রেস ম্যাং, নিউইয়র্ক স্টেটের জেসিকা গঞ্জালেস, সিটি কাউন্সিলম্যান স্টিভেন রাগা, মাইকেল জিয়ানারিস নিউইয়র্ক স্টেটের সিনেটর।
আরও পড়ুন: ‘মাকে জানিয়ে দাও, আমি বেঁচে আছি’
তারা সবাই বাংলাদেশিদের সাফল্য বর্ণনা করেন এবং তাদের অবদান বিশেষভাবে স্মরণ করে বলেন, ‘বাংলাদেশিরা কমিউনিটি বিনির্মাণে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। আজকে বাংলাদেশ স্ট্রিটের উদ্বোধন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’