advertisement
advertisement
advertisement.

সৌদিতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৩

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
২৯ মার্চ ২০২৩ ১০:০৭ এএম | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৩ ০৩:৫০ পিএম
দুর্ঘটনার পর সিভিল ডিফেন্স ও রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। ছবি: সংগৃহীত
advertisement..

সৌদি আরবের আসির প্রদেশে বাস দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রী নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত আরও ১৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নিহত ১৩ বাংলাদেশি হলেন- নোয়াখালীর সেনবাগের মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আওয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদনগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার দেবীদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কাওসার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নাজমুল, যশোর ইস্কান্দারের ছেলে রনি ও কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন।

advertisement

আরও পড়ুন: সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক

আহত ১৭ বাংলাদেশির মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন- চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের আবুল বাশারের ছেলে সালাহউদ্দিন, ভোলার বুরহান উদ্দিন উপজেলার আল আমিন, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের সিরাজুল্লাহর ছেলে মিনহাজ, চাঁদপুরের কচুয়ার মো. জয়নালের ছেলে জুয়েল, মাগুরার শালিকার জাকির মোল্লার ছেলে আফ্রিদি মোল্লা (পাসপোর্ট নং: EA0231718), লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের আবু সাইদের ছেলে মো. রিয়াজ, মো. সেলিম (পাসপোর্ট নং: A03459571), কুমিল্লার লাকসামের আইয়ুবি আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসাইন, মুরাদনগর উপজেলার আব্দুল মালেকের ছেলে ইয়ার হোসাইন, মো. জজ মিয়ার ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম, নোয়াখালীর সেনবাগের আব্দুল লতিফের ছেলে মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, মাগুরার মোহাম্মদপুরের ফজলুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান ও যশোর সদরের কাজী আনোয়ার হোসাইনের ছেলে মো. মোশাররফ হোসাইন।

এ ছাড়া প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন আব্দুল হাই, রানা, হোসাইন আলী ও কুদ্দুস।

আরও পড়ুন: সৌদিতে বাস উল্টে আগুন, হতাহতদের ৩৫ জন বাংলাদেশি

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানিয়েছেন, সৌদি আরবে যে বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৫ জন। বাস দুর্ঘটনায় ১৮ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৭ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত হয়েছেন ১৩ বাংলাদেশি।

এ ছাড়া বাসে ভিন্ন দেশি ১২ জন যাত্রীর মধ্যে পাঁচজনকে মৃত এবং সাতজনকে আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

আরও পড়ুন: সৌদিতে নিহত ওমরাহযাত্রীদের ৮-১০ জন বাংলাদেশি

সূত্র জানায়, সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় ওমরাহ যাত্রীরা নিহত হয়েছেন। গত ২৭ মার্চ ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাসটি একটি সেতুতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একপর্যায়ে বাসটি উল্টে আগুন ধরে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর সঙ্গে সংঘর্ষে উল্টে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কায় যাচ্ছিলেন।