advertisement
advertisement
advertisement.

ঈদুল ফিতরের যত আমল

অনলাইন ডেস্ক
২১ এপ্রিল ২০২৩ ১০:০৫ পিএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১০:০৫ পিএম
প্রতীকী ছবি
advertisement..

ঈদ আরবি শব্দ। যার অর্থ খুশি, আনন্দ, ফিরে আসা ইত্যাদি। যেহেতু প্রতি বছর দিনটি ফিরে আসে তাই, একে ঈদ বলা হয়। এদিন ঈদগাহে যাওয়ার আগে কিছু আমল রয়েছে। ঈদের দিনের আমল সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো

গোসল করা

advertisement

ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার আগে গোসল করা সুন্নত। এ বিষয়ে হাদিসে রয়েছে, হজরত ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ঈদুল ফিতরের দিনে ঈদগাহে যাওয়ার আগে গোসল করতেন। (সুনানে বায়হাকি ৫৯২০)।

সুন্দর জামাকাপড় পরিধান করা

গোসল করার পর সাধ্যমতো উত্তম জামাকাপড় পরিধান করা উচিত। কেননা, আল্লাহ তার প্রদত্ত নেয়ামতের প্রকাশ দেখতে চান। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা তার বান্দার ওপর তার প্রদত্ত নিয়ামতের প্রকাশ দেখতে পছন্দ করেন। (সহিহ আল জামে ১৮৮৭)।

ঈদের নামাজের আগে কিছু খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া

ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার আগে এবং ঈদুল আজহার দিন ঈদগাহ থেকে ফেরার পর কিছু খাওয়া সুন্নত। হজরত বুরাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবি করিম (সা.) ঈদুল ফিতরের দিন না খেয়ে বের হতেন না, আর ঈদুল আজহার দিনে ঈদের সালাতের আগে কিছু খেতেন না। (তিরমিজি শরিফ : ৫৪৫)।

হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া

ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া সুন্নত। হজরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘সুন্নত হলো ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া’। (তিরমিজি শরিফ : ৫৩৩)।

এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া ও অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা

এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যাওয়া আর অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা সুন্নত। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, নবি করিম (সা.) ঈদের দিনে পথ বিপরীত করতেন। (সহিহ বুখারি : ৯৮৬)।

নামাজ শেষে খুতবা শোনা

ঈদের নামাজ শেষে খুতবা শোনা করা ওয়াজিব। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে সায়েব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করিম (সা.)-এর সঙ্গে ঈদ উদযাপন করলাম। যখন তিনি ঈদের নামাজ শেষ করলেন, বললেন, আমরা এখন খুতবা দেব। যার ভালো লাগে সে যেন বসে আর যে চলে যেতে চায় সে যেতে পারে। (আবু দাউদ শরিফ : ১১৫৭)।

সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা

রমজান মাসে রোজার যে ত্রুটি হয়েছে তা পূরণ করতে অভাবগ্রস্ত আর গরিবদের যে খাদ্যসামগ্রী দান করা হয় তাকেই সাদাকাতুল ফিতর বলে। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) ঈদগাহে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করার আদেশ দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি : ১৫০৩)।