advertisement
advertisement
advertisement.

সকাল থেকে বিদ্যুৎহীন টেকনাফ, বাতাসের গতি বাড়ছে

অনলাইন ডেস্ক
১৪ মে ২০২৩ ১১:৩১ এএম | আপডেট: ১৪ মে ২০২৩ ১২:০১ পিএম
টেকনাফে আজ সকাল থেকে বইতে শুরু করেছে হালকা বাতাস। ছবি: আমাদের সময়
advertisement..

কক্সবাজারে দুদিন ধরে যাওয়া-আসা করছে বিদ্যুৎ। তবে আজ রোববার সকাল থেকে টেকনাফ উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। আজ ঘূর্ণিঝড় ‌‘মোখা’র অগ্রভাগ টেকনাফ উপকূল অতিক্রম করলেও এখনো ভয়াবহ রূপ ধারণ করেনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ এখন উপকূলে অতিক্রম করছে। তবে এটির মূল কেন্দ্র রয়েছে অনেক দূরে। যেটি আঘাত হানতে পারে আজ দুপুরের পর থেকে বিকেলের মধ্যে।

advertisement

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শরিফুল নেওয়াজ কবিরাজ বলেন, ‘অগ্রভাগ অতিক্রমের সময় বাতাসের গতিবেগ কম আছে। সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এটির কেন্দ্রে ১৯৫ কিলোমিটার থেকে শুরু করে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে। তবে স্থলভাগের আঘাত করার সময়ের গতি বেগ কমে যেতে পারে।’

আরও পড়ুন:মোখা’র প্রভাবে সেন্টমার্টিনে দমকা হাওয়া বেড়েছে

জানা গেছে, টেকনাফে মধ্যরাত থেকে বৃষ্টিও বাতাস শুরু হলেও সকালে অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। তবে সকাল আটটার পরে বৃষ্টি ও বাতাস বাড়তে থাকে। টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডার ঢিল এলাকায় ও জিরো পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, গতকাল থেকে সাগর এখন উত্তাল আছে। বাতাসের গতিবেগ বাড়লেও সেটি খুব বেশি নয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, তারা এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি। বাতাস ও বৃষ্টি বাড়লে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাবেন।

আরও পড়ুন: ২১৫ কিলোমিটার গতি বাড়িয়ে উপকূল অতিক্রম করছে ‘মোখা

স্থানীয় সিপিপি অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সদস্যরা বলছেন, তারা ঝড় পর্যবেক্ষণ করছেন। মানুষকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করে তাদেরকে নিরাপদে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

এদিকে বিদ্যুতের বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে বিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলী ফোন রিসিভ করেননি। তবে টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, বাতাসের গতিবেগ বাড়তে থাকায় কয়েকটি স্থানে গাছ উপড়ে পড়ছে বিদ্যুৎ লাইনের ওপর। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। এজন্য সমুদ্র উপকূল এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িক বন্ধ আছে।