আগামী ২৯, ৩০ ও ৩১ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষা মানেই ভোগান্তি। গাড়ি পাওয়া যায় না, গাড়ি পাওয়া গেলে ভাড়া বেশি। আবার থাকার জায়গা নিয়ে সমস্যা। অনেক সময় খাবারের দাম বেশি রাখা হয়। এতো সমস্যার মধ্যে পরীক্ষার্থীরা কিভাবে কম ভোগান্তিতে ভর্তি পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি ফিরতে পারে - সেই উদ্দেশ্যেই আজকের লেখাটি।
যেভাবে যাবেন রাজশাহী
স্বল্প খরচে যাতায়াতের সহজ মাধ্যম হলো ট্রেন। আর রাজশাহী শহরের সঙ্গে অন্যান্য প্রায় সব শহরের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। তাই, আপনি ট্রেনে যেতে চাইলে নির্ধারিত তারিখের কয়েকদিন আগেই টিকেট কেটে নিতে পারেন। ভর্তি পরীক্ষার সময়ে অগ্রিম টিকেট না কাটলে টিকেট না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, আপনার মত আরও অনেকেই ট্রেনের টিকেট কাটার চেষ্টা করবে। বাসেও যেতে পারেন। তবে, এক্ষেত্রে আপনাকে বাড়তি ভাড়া দিতে হবে।
রাবি ক্যাম্পাসের আশপাশের গাড়ি ভাড়া
রাজশাহী সিটি করপোরেশন থেকে অটোরিকশার ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার সময় ওই ভাড়ার তালিকা খুব কম চালকই মেনে চলেন। তাই গাড়ি ভাড়ার তালিকাটা জেনে রাখা আপনার জন্য উপকারে লাগতে পারে। তবে, অবশ্যই গাড়িতে ওঠার আগে ভাড়াটা নির্ধারণ করে নিতে ভুলবেন না।
নিচে রাবি ক্যাম্পাসের আশপাশের অটোরিকশার ভাড়ার তালিকা দেওয়া হল
রেল স্টেশন থেকে কাজলা গেট ১০ টাকা
রেল স্টেশন থেকে মেইন গেট ১২ টাকা
রেল স্টেশন থেকে বিনোদপুর গেট ১২ টাকা
তালাইমারি থেকে কাজলা গেট ৫ টাকা
তালাইমারি থেকে মেইন গেট ৭ টাকা
তালাইমারি থেকে বিনোদপুর গেট ১০ টাকা
মেইন গেট থেকে মণ্ডলের মোড় ৫ টাকা
মেইন গেট থেকে আমজাদের মোড় ১০ টাকা
বিনোদপুর থেকে কাটাখালি ৫ টাকা
বিনোদপুর থেকে সাহেব বাজার ১২ টাকা
কাটাখালি থেকে সাহেব বাজার ১৭ টাকা
তালাইমারি থেকে মিজানের মোড় ১২ টাকা
ক্যাম্পাসের তিনটা গেটের মধ্যে সিরিয়াল অনুযায়ী মেইন গেটটা মাঝখানে। আর মেইন গেট থেকে অন্য গেটে যেতে সাধারণত ৫ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়।
মেইন গেট থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় ক্যাম্পাসের যেকোনো হলে যেতে সাধারণত ১৫ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। অন্য গেটগুলো থেকে গেলে ২০ টাকা করে নিতে পারে।
যেখানে থাকবেন
১. প্রায় প্রত্যেক জেলার নামে একটা করে জেলা সমিতি থাকে ক্যাম্পাসগুলোতে। অনেকে ক্ষেত্রে উপজেলা বা বিভাগীয় সমিতিও থাকে। এই সমিতির ভাইয়া-আপুদের মেস এবং হল, ওই এলাকার পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকের জন্য থাকার সবচেয়ে পছন্দের এবং নিরাপদ জায়গা। এক্ষেত্রে সমিতির ভাইয়া-আপুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে। আর কারও যদি আত্মীয়ের বাসা থাকে ক্যাম্পাসের আশেপাশে তাহলে তো আর কোনো কথাই থাকে না।
২. উপরের কোনোটার ব্যবস্থায় করতে না পারলে আপনার জন্য শেষ ভরসা স্থায়ী বা অস্থায়ী হোটোলগুলো। রাজশাহী শহরে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল আছে, সেখানে কিছু টাকা খরচ করলে থাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। এ রকম কিছু হোটেলের তালিকা নিচে দেওয়া হল
১. হোটেল নাইস- ০১৭৪০-১৩৩৯৩৩ (সাহেব বাজার)
২. হোটেল ওয়ারিসান- ০১৭৯৩-০৪০২৬৯ (সাহেব বাজার)
৩. হোটেল ডালাস- ০১৭১১-৮০২৩৮৭ (রেল গেট)
৪. হোটেল আনজুম- ০১৭১৯-৭৫০৯১৪ (রেল গেট)
৫. হোটেল সিটি প্লাস- ০১৭৪৩-৯০৬০০৬ (রেল স্টেশনের ভিতরে)
৬. হোটেল নূর- ০১৯১৫-৭০৮৮৯৬ (লক্ষ্মীপুর)
৭. হোটেল সুকর্ণ- ০১৭১১-৮১১০১৪ (লক্ষ্মীপুর)
৮. হোটেল প্রবাসী- ০১৭১২২৬৬০৭৯ (সাহেব বাজার)
৯. হোটেল এনাম- ০১৭১৮-০৫৭০৮৯ (সাহেব বাজার)
১০. হোটেল মুক্তা- ০১৭১১৩০২৩২২ (সাহেব বাজার)
খাবার
সবচেয়ে কম খরচে খাবার খেতে পারবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর ডাইনিংয়ে। তবে, খাবারের স্বাদের ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। খাবারের স্বাদ নিয়ে বেশি খুঁতখুঁতে হলে হলের ক্যান্টিনে খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে খরচ একটু বেশি হবে। এর বাইরে ক্যাম্পাসের ভিতর ও বাইরের খাবারের হোটেলগুলোতো আছেই। এই হোটেলগুলোতেও খাবার খেতে পারবেন। ক্যান্টিন এবং হোটেলের খাবারের দাম প্রায় একই।