advertisement
advertisement
advertisement.

বিএনপির মিছিলে যাওয়ায় ছোটভাইকে পেটালেন রাবি ছাত্রলীগ নেতা

রাবি প্রতিনিধি
২২ মে ২০২৩ ০৯:২৪ পিএম | আপডেট: ২২ মে ২০২৩ ০৯:২৬ পিএম
আহত রাবি শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত
advertisement..

বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে যাওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের এক নেতাকে মারধর করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী ছাত্রের নাম শেখ নূর উদ্দিন আবির। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

advertisement

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন সাকিবুল হাসান বাকি। তিনি লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী। মারধরের সময় তার সঙ্গে আরও কয়েকজন কর্মী ছিল।

নূর উদ্দীন আবির বলেন, ‘যারা আমার উপর হামলা করেছে, তারা আমার বিভাগের বড় ভাই। তারা আমাকে ফোন দিয়ে বিভাগের সামনে যেতে বলে। আমি দূরে থাকায় আমার বিভাগের এক ছোট ভাইকে দিয়ে মোটরসাইকেল পাঠায়। বিভাগের ভাইয়েরা ডেকেছে তাই আমিও তাদের সঙ্গে দেখা করতে যাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মোটরসাইকেল থেকে নামার  সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ বলেই তারা আমার ওপর হামলা চালায়। হাবিব নামের একজন আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে এবং বাকি ভাই আমাকে বাঁশ দিয়ে পায়ের গোড়ালিতে মারে। এক পর্যায়ে বিভাগের ছোট ভাইরা আমাকে রিকশায় তুলে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের হাতে তুলে দেন।’

এখন তার অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাঁশ দিয়ে পায়ের রগে পিটিয়েছে ফলে গুরুতরভবে আহত হয়েছি। এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) জরুরি বিভাগে ভর্তি আছি।

ছাত্রলীগ নেতা সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, ‘বিএনপির গতকালের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। ওই সমাবেশে রাবি ছাত্রদলের ব্যানারে কিছু নেতাকর্মী গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার পরে তারা আনন্দ-উল্লাস করে। এর প্রতিবাদে আজকে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ছিল। বিএনপির ওই মিছিলে যোগদান করায় নূর উদ্দিন আবিরকে আমার ছোট ভাইরা মারধর করে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী জানান, ছাত্রলীগ নেতা বাকি সংগঠনে কোনো কাজ করে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী। পদ পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের চোখে আলোচনায় আসার জন্য এমনটা করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘আমরা শুনেছি। সেখানে আমাদের সহকারী প্রক্টররা ছিলেন। ঘটনার বিস্তারিত জেনে সিদ্ধান্ত নিবো।’