এক নারীর বাড়িতে ঢুকে তাকে অতর্কিত গুলি করেছে এক পুলিশ। সেইসঙ্গে ওই নারীর বাবা ও তার ভাইকেও গুলি করেছে ওই পুলিশ সদস্য। এতে করে ওই নারীর বাবা নিহত হয়েছে। তবে পরবর্তীতে ওই পুলিশ সদস্য চলন্ত ট্রেনের নিচে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ভারতের মধ্যপ্রদেশে ঘটেছে এ ঘটনা। খবর এনডিটিভির।
দেশটির পুলিশ বলেছে, ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণী ও তার ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানাচ্ছে, সুবাস খারাদি (২৬) দেওয়াসে পুলিশের চালক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি গত রোববার রাতে শাজাপুর জেলায় জাকির খানের (৫৫) বাসায় প্রবেশ করেন। এ সময় সুবাসের কাছে দেশীয় অস্ত্র ছিল।
ওই বাড়িতে ঢুকার পর সুবাস, শিবানি ও তার বাবা জাকির শেখ এবং তার ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েন। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
পরবর্তীতে সুবাস তার ফেসবুকে ওই শিবানিসহ নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন। ক্যাপশনে লিখেন, সে আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাই তাকে হত্যা করেছি। আমি তাকে এমন ব্যথা দিয়েছি যা সে কখনো ভুলতে পারবে না।
এর কয়েক ঘণ্টা পরেই রেললাইনের ধারে সুবাসের দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভালোবাসার সম্পর্ক বিচ্ছেদে পরিণত হওয়ার পরেই এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: স্বামীর নামে তরুণীর কপালে ট্যাটু, সমালোচনার ঝড়
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওই নারীকে প্রথমে নিকটস্থ হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয়। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ইন্দোরে স্থানান্তর করা হয়। জেলা পুলিশ প্রধান যশপাল সিং রাজপুত জানান, এ ঘটনায় তাদের তদন্ত চলছে।