advertisement
advertisement
advertisement.

কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ নেওয়া হোক

ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা

২৫ মে ২০২৩ ১২:০০ এএম
আপডেট: ২৪ মে ২০২৩ ১১:৪৬ পিএম
advertisement..

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেঙ্গু প্রবলভাবে হানা দিচ্ছে। মশার প্রজনন মৌসুম শুরুর আগেই আবারও পুরনো রূপে ফেরার আভাস দিচ্ছে এডিস মশাবাহিত ভাইরাস ডেঙ্গু। আক্রান্তের পাশাপাশি ঘটছে প্রাণহানিও। চলতি বছর এরই মধ্যে এতে ১৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ডেঙ্গুতে দেশে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটে গত বছর। তবে ওই বছরের প্রথম পাঁচ মাসে কোনো প্রাণহানি ছিল না। আর এবার পরিস্থিতি অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় ভয়াবহ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

কেননা ডব্লিউএইচওর পরামর্শ শোনেনি সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরামর্শক কে কে কৃষ্ণমূর্তি ২০১৭ সালে সরকারকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে বলেছিলেন। সরকার সেই উদ্যোগ নেয়নি। দুই বছর পর ২০১৯ সালে ওই সংস্থার জ্যেষ্ঠ কীটতত্ত্ববিদ বি এন নাগপাল ডেঙ্গুর জীবাণুবাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সুনির্দিষ্ট কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন। সরকার সেই পরামর্শও শোনেনি। ডেঙ্গু এমন কোনো রোগ নয় যে, এটি প্রতিরোধ করা যায় না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যা করেছে, সেটি হলো আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করা। কিন্তু আমরা ডেঙ্গু রোগের উৎস এডিস মশার জন্ম ঠেকাতে পারি না কেন? ঢাকা বা অন্যান্য শহরের যেসব জায়গায় এডিস মশার জন্ম, সেসব জায়গা পরিচ্ছন্ন রাখতে পারলে, পানি জমতে না দিলে কিন্তু ডেঙ্গু সহজেই প্রতিরোধ করা যায়।

advertisement

ডেঙ্গুর উৎস এডিস মশার জন্ম রোধ করতে পারলে ডেঙ্গু সহজেই নির্মূল করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে বহু উদ্যোগ-আয়োজন, সুপারিশ, সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কাজ হয়েছে কম। ফলে ডেঙ্গু নিয়ে আগে যে দুর্ভাবনা ছিল, তা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারিনি। কলকাতা সিটি করপোরেশনেও ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল, তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। কিন্তু আমরা পারিনি।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ নেওয়া হোক। যাদের এসব সুপারিশ ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব ছিল, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হোক। সেই সঙ্গে নাগরিক সচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।